পরীক্ষার সময় গার্ড দিতে গিয়ে সন্দেহ হওয়ায় এক ছাত্রীকে তার পোশাক খুলতে বাধ্য করেন এক শিক্ষক। ঘটনার পরেই স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে এসে নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় নবম শ্রেণীর সেই ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের জামশেদপুরের একটি স্কুলে। হেনস্থাকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ। আত্মহত্যার চেষ্টা রুখে দিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ছাত্রীর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, টুকলি করে ওই ছাত্রী পরীক্ষা দিচ্ছে এই সন্দেহের কথা বলেই তাকে ক্লাসরুম সংলগ্ন একটি ঘরে নিয়ে যান তিনি। সেখানেই তাঁকে চূড়ান্ত অপমান করার পর, সে সত্যিই টুকলি করার কাগজ লুকিয়ে রেখেছে কি না, তা দেখতে তার জামাকাপড় খুলতে বাধ্য করা হয়। পুলিশকে দেওয়া বয়ানে ওই নাবালিকা জানিয়েছে, বার বার সে শিক্ষককে বলেছিল যে, সে পরীক্ষায় নকল করেনি। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাকে অনাবৃত হতে বাধ্য করেছে অভিযুক্ত ব্যক্তি। বার বার বাধা দিলেও তার কোনও কথাই ওই শিক্ষক কানে তোলেননি।
জানা গিয়েছে, এই ঘটনার পর বিকেলে বাড়ি ফিরে নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় ওই নাবালিকা। ওই অবস্থায় বাড়ির বাইরে ছুটে আসে সে। রাস্তায় পড়েই অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপরই আশেপাশের স্থানীয় বাসিন্দারা লোকজন জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে অগ্নিদগ্ধ ছাত্রীর পরিবার।