গত একমাস আগে যে যুদ্ধের (War) শুরু হয়েছিল, তার যবনিকা পড়তে চলেছে সোমবার। এই যুদ্ধে অবশ্য বোমারু বিমান নেই, গোলাগুলি নেই। গত একমাস ধরে ছিল বিশিষ্ট রাজনৈতিক নেতাদের (Political leader) রাজনীতির ময়দানে চষে বেড়ানোর কাহিনি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাঁচ রাজ্যের ভোট শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশ (Uttar pradesh) থেকে। সেই উত্তরপ্রদেশেই শেষ হচ্ছে পাঁচ রাজ্যের ভোট-যুদ্ধ। সোমবার ভোট রাজ্যের নয়টি জেলার ৫৪টি আসনে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এই দফায় নজর থাকবে বারাণসী (Varanashi) থেকে আজমগড় (Azamgangu) পর্যন্ত। কারণ, এই নয়টি জেলার বেশির ভাগ আসনই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) লোকসভা কেন্দ্র বারাণসী এবং সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিম অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) লোকসভা কেন্দ্র আজমগড়ের অন্তর্ভুক্ত।
শেষ দফা ভোটের আগেই অবশ্য বিজেপি (Bjp) সর্বভারতীয় সভাপতি জগৎ প্রকাশ নাড্ডা ( J P Nadda) থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Central home minister) অমিত শাহ (Amit Shah) বারবার দাবি করেছেন, এবারও লখনউয়ের তখতে ফিরছে বিজেপি। তাঁদের দাবি, এবারের ভোটে আসন সংখ্যা বাড়িয়েই সরকার তৈরি করবে গেরুয়া শিবির। মুখ্যমন্ত্রীর নাম না বললেও, রাজনৈতিক মহলের মতে, যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath) ছাড়া হয়তো আর কোনও বিকল্প নেই বিজেপি সামনে। তবে বিরোধীরাও পাল্টা দিয়েছেন। বিশেষকরে দুবার উত্তরপ্রদেশে ভোটপ্রচারে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের হাত শক্ত করেছেন তৃণমূল নেত্রী (Trinamool suprimo) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে মমতার দাবি, উত্তরপ্রদেশে বিজেপিকে হারাতে পারলে দেশের বাকি জায়গাতেও হারানো সম্ভব।
আরও পড়ুন : রবিবার বিকেলে কেঁপে উঠল শ্রীনগরের জমজমাট বাজার, বিস্ফোরণে মৃত এক
উত্তর পেতে অপেক্ষা করতে হবে ১০ মার্চ পর্যন্ত। বৃহস্পতিবারের বারবেলার আগেই হয়তো পরিস্কার হয়ে যাবে উত্তরপ্রদেশ-সহ বাকি চার রাজ্যের রাজনৈতিক ছবি।