আগে অল্প বয়সেই মেয়েদের বিয়ে হয়ে যেত । ১৭ বছরেই মা হয়ে যেত মেয়েরা । বৃহস্পতিবার এক নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদনের শুনানি চলাকালীন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করল গুজরাত হাইকোর্ট (Gujarat High Court) । জানা গিয়েছে, ওই ধর্ষিতা নাবালিকা সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা । পরিবারের আবেদন, বয়সের বিবেচনা করে আদালত তাঁদের মেয়েকে গর্ভপাতের অনুমতি দিক । এরপরেই ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি সমীর জে দেব । সেইসঙ্গে মনুস্মৃতি পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ।
বিচারপতি শুনানি চলাকালীন আদালতে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ভ্রূণ এবং মেয়েটি দুজনেই ভাল অবস্থায় থাকলে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হবে না । জানা গিয়েছে, ওই নির্যাতিতার বয়স ছিল ১৬ বছর ১১ মাস। ৭ মাস পার হওয়ার পর তার বাবা জানতে পারে যে মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা । আদালতে নাবালিকার বয়সের বিষয়টি তুলে ধরে নাবালিকার গর্ভপাতের আবেদন জানান, মেয়েটির পক্ষের আইনজীবী সিকান্দার সৈয়দ । জানান ১৬ অগস্ট প্রসবের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। তাই দ্রুত মামলার শুনানি করা হোক ।
আরও পড়ুন, Kultali Murder : ২২ দিন পর মাটি খুঁড়ে কুলতলির ব্যবসায়ীর পচাগলা দেহ উদ্ধার
এরপরেই বিচারপতি বলেন, "আমরা ২১ শতকে বাস করছি। কিন্তু আপনার মা বা ঠাকুমাকে জিজ্ঞাসা করুন। আগে ১৪-১৫ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যেত। ১৭ বছর বয়সের আগে বাচ্চা হয়ে যেত। ছেলেদের আগে মেয়েরা ম্য়াচিওর হয়ে যায়। আপনারা হয়তো মনুস্মৃতি পড়েন নি । একবার পড়ে নেবেন। "
বিচারক বলেন, "ভ্রুণ বা নাবালিকার মধ্যে কোনও গুরুতর অসুস্থতা পাওয়া গেলে আদালত বিবেচনা করতে পারে (গর্ভপাতের অনুমতি)। কিন্তু উভয়ই যদি সুস্থ থাকে, তাহলে আদালতের পক্ষে এমন আদেশ দেওয়া খুব কঠিন হবে ।" আদালত নাবালিকার ডাক্তারি পরীক্ষা করার কথা বলেছে। এর জন্য, রাজকোটের সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিন্টেনডেন্টকে জরুরি ভিত্তিতে সিভিল হাসপাতালের ডাক্তারদের একটি প্যানেল গঠন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । চিকিৎসকদের ওই প্যানেল তাদের রিপোর্ট পেশ করার পরই সিদ্ধান্ত নেবেন বিচারক । সেইসঙ্গেই ওই নাবালিকার মানসিক অবস্থা সম্পর্কে যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয় আদালত। । আগামী ১৫ জুন আবেদনের পরবর্তী শুনানি ।