মাত্র ৫ মাস আগেই বিয়ে হয়েছিল দু'জনের। কিন্তু বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন স্বামী৷ নতুন প্রেমিকাকে বিয়ে করার পথে কাঁটা হয়ে ছিলেন স্ত্রী। তাই ইঞ্জেকশন দিয়ে স্ত্রীকে খুন করলেন ওই যুবক। তারপর আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাও করলেন। যদিও পুলিশি তদন্তে ধরা পড়ে গিয়েছে আততায়ী।
মহারাষ্ট্রের পুণে শহরের ঘটনা। স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ২৩ বছরের ওই যুবককে। ধৃতের নাম স্বপ্নীল সাওয়ান্ত। তার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল প্রিয়াঙ্কা ক্ষেত্রি নামে এক মহিলার। তাঁরা একটি ভাড়াবাড়িতে সংসার পেতেছিলেন। কিন্তু তার মধ্যেই অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে স্বপ্নিল।
গত ১৪ নভেম্বর গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় প্রিয়াঙ্কাকে হাসপাতালে নিয়ে যায় স্বপ্নীল। সেখানেই মৃত্যু হয় বছর কুড়ির তরুণীর। মৃত্যুটিকে আত্মহত্যা বলে চালাতে চায় স্বপ্নীল। প্রিয়াঙ্কার ঘর থেকে মেলে সুইসাইট নোটও। কিন্তু আত্মহত্যার তত্ত্ব মানতে চায়নি মৃতার পরিবার। গার্হস্থ হিংসা ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ তোলেন তারা। শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে হাসপাতাল থেকে ভেকিউরোনিয়াম ব্রোমাইড, নাইট্রোগ্লিসারিন ইঞ্জেকশন সহ একাধিক ওষুধ চুরি করেছিল স্বপ্নীল।।হাসপাতালের কর্মী হওয়ায় সে এসব ওষুধের ব্যবহার ও প্রভাব জানত। এই সব ওষুধ প্রয়োগ করেই সে খুন করে প্রিয়াঙ্কাকে।