নতুন সকাল মানে, নতুন যুদ্ধ। আর সেই যুদ্ধে সামিল এখন ওড়িশার বালেশ্বরে কর্মরত জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর জওয়ানরা। রাতভর উদ্ধারের পরেও বাহানাগায় তাঁদের কোনও বিশ্রাম নেই। রবিবার সকাল হতেই শুরু লাইন থেকে ধ্বংস্বস্তুপ সরানোর কাজ। এদিন সকালেই ঘটনাস্থলে গিয়েছে রেলের দুটি ব্রেকডাউন ভ্যান। ইতিমধ্যেই করমণ্ডল দুর্ঘটনার প্রথামিক রিপোর্ট জমা পড়েছে, যেখানে দায় চাপানো হয়েছে সিগ্যনালিং সিস্টেমের উপরেই। তবে যা আন্দাজ তাতে এই রুটে ট্রেন পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে আরও ৪৮ ঘণ্টা সময় লাগতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় হাওড়া-চেন্নাই আপ ও ডাউন লাইনে একাধিক ট্রেন বাতিল করা হয়েছে (South Eastern Rail Cancel)। পরিষেবা চালু করতে এবার উদ্যোগ নিল রেল। শনিবার রাত থেকেই কাজ শুরু করেছেন রেলকর্মীরা। জানালেন, দক্ষিণ পূর্ব রেলের সিপিআরও আদিত্য কুমার চৌধুরী।
শনিবার রাতে রেলকর্মীরা দুর্ঘটনাস্থল পর্যাপ্ত পরিমাণ আলোর ব্যবস্থা করেছে। আনা হয়েছে ক্রেন। উদ্ধারকাজের পাশাপাশি রেলের পরিষেবা যত দ্রুত ফেরানো যায়, সেই উদ্যোগ নেওয়া হবে। আদিত্য চৌধুরী বলেন, "রেলের গোটা টিম ঘটনাস্থলে আছে। ক্রেন আনা হয়েছে। লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা আমাদের কাজ করছি। যাতে পরিষেবা দ্রুত চালু করা যায়।"