টমাটো ফ্লু নিয়ে এবার ভারতকে সতর্ক করল ল্যানসেট রেসপিরেটরি জার্নাল। সংক্রামক রোগ, স্বাস্থ্যের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে এই ফ্লু। এখনও পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এর কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি বলেও জানিয়েছে ল্যানসেট।
কখনও একে চিকিৎসকরা বলছেন টমাটো ফিভার। আবার কোথায় বলা হচ্ছে টমাটো ফ্লু। ১-৫ বছরের শিশুদের শরীরে সংক্রামিত হচ্ছে এই জ্বর। এখনও পর্যন্ত ১-৫ বছরের ৮০ জন শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
টমাটো ফিভার কিভাবে হয়
জানা গিয়েছে, শিশুদের অন্ত্রে সংক্রামিত হয় টমাটো ফিভার। হাত, পায়ের পাতাস মুখ থেকে এই ভাইরাস ছড়ায়। চিকিৎসকদের বিশ্বাস, ডেঙ্গি ও চিকেনগুনিয়া হওয়ার পরবর্তী প্রভাব এই টমাটো ফিভার।
টমাটো ফিভারের লক্ষণ
টমাটো ফিভার হলে ডায়েরিয়া, বমি, গায়ে ব্যথা ও ত্বকে জ্বালা করে। হাত ও পায়েও জ্বালা করে। গাঁটে ব্যথা ও গায়ে ব়্যাশ বেরোয়।
কীভাবে সংক্রমণ হয়
অন্যান্য ভাইরাল জ্বরের মতো টমাটো ফ্লুও বাতাস থেকে সংক্রামিত হয়। এছাড়া অপরিচ্ছন্ন টেয়ার-টেবিল, হাত না ধুয়ে খাওয়া, অপরিচ্ছন্ন হাতে বাচ্চার পরিচর্যা থেকে সংক্রামিত হতে পারে।
টমাটো ফিভারে আক্রান্ত, কীভাবে বুঝবেন
ল্যানসেট রিপোর্ট অনুযায়ী, বাচ্চাদের একসঙ্গে ডেঙ্গি, চিকনেগুনিয়া, জিকা ভাইরাস, ভেরিসেলা জোস্টার ভাইরাস, হেরপস ভাইরাস আছে কিনা পরীক্ষা করা হয়।
কীভাবে চিকিৎসা
চিকেনগুনিয়া, ডেঙ্গির মতোই এর চিকিৎসা পদ্ধতি। ল্যানসেটের রিপোর্ট অনুযায়ী, গরম জল স্পঞ্জিং করা, নিভৃতবাস, বিশ্রাম আর প্রচুর জলজাতীয় দ্রব্য খাওয়াই এই রোগের একমাত্র চিকিৎসা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগ শিশুদের থেকে প্রাপ্তবয়স্করাও আক্রান্ত হতে পারেন।
দেশে প্রথম টমাটো ফিভারে আক্রান্ত হয়েছিল কেরালার কোল্লাম জেলার এক শিশু। এরপর তামিলনাড়ু, ওড়িশাতেও সংক্রামিত হয়েছে এই ভাইরাস। এথনও পর্যন্ত দেশের অন্য প্রান্তে দেখা যায়নি এই ভাইরাস।