ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি। শপথ নেবেন প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য সাংসদরা। এই আবহে আজ, সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে সংসদের বিশেষ অধিবেশন। গত ৪ জুন লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশ হয়েছে। ৪০০ পারের অঙ্গীকার নিয়ে এবার ময়দানে নেমেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু ভোটের ফলে ধাক্কা খেয়েছে তাঁর ৪০০ পার করার স্বপ্ন। বিজেপি এবং তার শরিকদের যৌথ ফল এবার ২৯২। উল্টোদিকে বিরোধীদের উত্থান হয়েছে। ২৩২ জন নিয়ে এবার তাঁদের চ্যালেঞ্জ জানানোর কথা।
কী ভাবে শুরু হবে নতুন লোকসভার কাজ ? রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর ভাষণের পর প্রোটেম স্পিকার কটকের সাতবারের সাংসদ ভর্তৃহরি মহতাবের তত্ত্বাবধানে প্রথমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শপথ নেবেন। তাঁকে লোকসভার নেতা হিসাবে ঘোষণা করবেন প্রোটেম স্পিকার। তারপর শপথ নেবেন বাকি সাংসদরা। রাজনৈতিক মহলের দাবি, গোড়া দিন থেকেই সংসদে এনডিএ বনাম ইন্ডিয়া জোটের সংঘাতের আশঙ্কা থাকছে। কারণ প্রোটেম স্পিকার নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যে সমালোচনার সুর চড়িয়েছেন বিরোধীরা।
এদিন সকাল ১১টা থেকে যে শপথ অনুষ্ঠান শুরু হবে, তা চলবে মঙ্গলবার পর্যন্ত। প্রথমে শপথ নেবেন অসমের সাংসদরা। আর পশ্চিমবঙ্গের ৪২ জন সাংসদের শপথ হবে সবার শেষে। কারণ ইংরেজি আদ্যাক্ষরে ওয়েস্ট বেঙ্গল সবার শেষে। তবে, সোমবার শুরুতেই প্রোটেম স্পিকার পদে ভর্তৃহরিকে শপথ বাক্য পাঠ করাবেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূ।
সংসদ শুরুর আগে সংঘাত কোথায় ? সংঘাত প্রোটেম স্পিকার মনোনয়ন ঘিরে। কারণ, রাষ্ট্রপতির তৈরি প্যানেলে বিরোধী সাংসদরা ইতিমধ্যেই এই প্যানালে না থাকার কথাই ভাবছেন। রবিবারই তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা কিরণ রিজেজু। সুদীপ তাঁকে স্পষ্ট জানান, তিনি এই প্যানালে থাকবেন না। কারণ, তাঁর দল তৃণমূল চায় না, এর জেরে ইন্ডিয়া জোটে কোনও প্রভাব পড়ুক।
এই পরিস্থিতিতে সাংসদের শপথেরই পরেই ২৬ তারিখ স্পিকার নির্বাচন হবে। এই দৌড়ে আবার বিজেপিকে চাপে রেখেছে শরিক টিডিপি এবং সংযুক্ত জনতা দল। রাজনৈতিক মহলের দাবি, সেই মজাই বাইরে থেকে নিতে চান বিরোধীরা। স্পিকার নির্বাচনের পরেই সংসদের ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি। সবকিছু ঠিক থাকলে জুলাই মাসের প্রথম দু দিন সংসদে জবাবী ভাষণ দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সংসদ চলুক, এই আবেদন ইতিমধ্যেই সরকার পক্ষের। আর প্রথম দিন থেকেই হাতে অস্ত্র নিয়েই মাঠে নামবেন বিরোধীরা। প্রবেশিকা পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস এখন সবচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়। আর সেটাই হাতিয়ার বিরোধীদের। তাই ২৯২ বনাম ২৩৩ লড়াই গোড়ার দিন থেকেই শুরু হবে কীনা, সেই দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।