ঠিক ছিল আর কোনও রক্ত ঝড়বে না। তাই মণিপুরের শান্তি ফেরাতে কুকি এবং মেইতের এক টেবলে বসানো হয়েছিল। কিন্তু একমাস কাটল না, সেই মণিপুর অশান্ত হল। যে অশান্তিতে ১২ বছরের মেয়ের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল মায়ের। হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১২ বছরের ওই শিশু। রবিবারের এই ঘটনায় কে প্রথম গুলি চালাল, তা নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। কেন গুলি চলল, সেই প্রশ্নের উত্তর এখনও খুঁজে পায়নি মণিপুরের পুলিশ ?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজধানী ইম্ফল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে, কাংপোকপি জেলার একটি গ্রামে দুপুর বেলা হঠাৎ গুলির লড়াই শুরু হয়। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ড্রোনের মাধ্যমে তাদের উপর বোমা ফেলা হয়। গ্রামবাসীরাই প্রথমে প্রতিরোধ শুরু করেন। দু পক্ষের এই গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়ে মৃত্যু হয় ৩১ বছরের সুরবালার। চোখের সামনে মা-কে গুলিবিদ্ধ হতে দেখে তাঁর ১২ বছরের মেয়ে।
এই ঘটনার পরেই প্রশ্ন, মণিপুরে শান্তি কোথায় ? কারণ, কুকি এবং মেইত দু পক্ষ দাবি করেছে, ওই গ্রাম তাদের। এবং গুলি চালনার জন্য একে-অপরকে দোষারোপ শুরু করেছে। এই ঘটনার পরে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতারির কোনও খবর নেই। নেই শান্তি ফেরানোর তৎপরতাও। গত অগাস্ট মাসে রাজ্যে শান্তি ফেরাতে কুকি এবং মেইতে এক টেবলে বসিয়েছিল মণিপুরের বিজেপি সরকার। একমাসের মধ্যে তা বিশবাঁও জলে।