কয়লা পাচার তদন্তে দিল্লিতে ইডি দফতরে মনজিৎ সিং গ্রেওয়াল। গত শনিবারই কলকাতার এই হোটেল মালিককে নোটিশ পাঠায় ইডি। তার ভিত্তিতেই এদিন ইডির সদর দফতরে হাজিরা দেন তিনি। তবে তাঁর দাবি, নথিতে কোথাও কোনও অনিয়ম নেই। এছাড়া গজরাজের সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই বলেও জানান ওই ব্যবসায়ী।
এর আগেই কলকাতার এক বাড়িতে হানা দেয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। ওই বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এই কাণ্ডে ইডির হাতে আসে তাঁর নাম। ইডির দাবি, এই ব্যক্তির মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা নয়ছয় করতেন কোনও এক প্রভাবশালী রাজনীতিক।
তদন্তকারীদের দাবি, গজরাজ গ্রুপের মোট ৩০টি কোম্পানি রয়েছে। এই কোম্পানিগুলিতে কয়লাপাচারের টাকা ঘুরপথে এসেছে। ইডি সূত্রে আরও খবর, একটি গেস্ট হাউস ৯ কোটি টাকা দিয়ে কেনাবেচা চলছিল বালিগঞ্জে গজরাজ গোষ্ঠীর দফতরে। যদিও ওই সম্পত্তির আসল দাম ১২ কোটি টাকা। ৩ কোটি টাকা দেখানো হয় চুক্তি পত্রে। ইডির দাবি এভাবেই কালো টাকা সাদা হচ্ছিল।