নাতালিয়া ম্যাগনার, আনিকা প্যাটেল, কার্লোস জিফোনি, হিমাংশু ভি, যাঁদের সকলকে এক সুতোয় বেঁধেছিল কর্মক্ষেত্র ফেসবুক। কিন্তু একটা ইমেল বদলে দিল তাঁদের সকলের জীবন।
মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গের একটি ই-মেলে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এক হাজারেরও বেশি কর্মী। সেই তালিকায় রয়েছেন এঁরা। এঁদের মধ্যে কেউ মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। কেউ আবার আইআইটি থেকে পাশ করে সবে মাত্র কানাডায় গিয়েছেন। আবার কেউ জানতেন তাঁর কর্মদক্ষতায় খুশি কোম্পানি। ছাঁটাইয়ের তালিকায় নেই তিনি। কিন্তু একটা ই-মেল বদলে দিয়েছে সকলের জীবন।
আগের দিন প্রায় সকলেই জানতেন সকালে একটা ই-মেল আসতে পারে, আর ওই এক হাজার কর্মীদের মধ্যেই তিনি থাকলেও থাকতে পারেন। তাই কিছুটা ভয় নিয়েই ঘুমোতে গিয়েছিলেন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকা আনিকা। ভোরবেলা একটি মেলে তিনি জানতে পারলেন তাঁর চাকরি গিয়েছে। নিজের অভিজ্ঞতার কথা তিনি লিঙ্কডিনে লিখেছেন। সাহায্য চেয়েছেন মাতৃত্বকালীন ছুটি হলে কেউ যদি তাঁকে একটা চাকরি দেয়।
মেটার আরেক কর্মী হিমাংশু ভি -ও জানিয়েছেন নিজের কথা। মাত্র দু'দিন আগেই কানাডায় মেটার অফিসে কাজে যোগ দিয়েছিলেন খড়্গপুর আইআইটির এই সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু দু'দিনের মধ্যেই বদলে গিয়েছে জীবন। মেটার গণছাঁটাইয়ের কোপে পড়েছেন তিনিও। নেটিজনদের কাছে আবেদন করেছেন, যদি তাঁর সিভি দেখে কেউ চাকরির জন্য ডাকেন।
অন্যদিকে, প্রোডাক্ট ম্যানেজার স্থানীয় এক আধিকারিক জানিয়েছিলেন, তাঁর কাজে কর্তৃপক্ষ খুশি। তাই ভয়ের কোন কারণ নেই। কিন্তু সেই আশ্বাসও মিথ্যে হয়ে গিয়েছে চাকরি খুইয়েছেন মেটার আর এক কর্মী কার্লোস জিফোনি।
মেটায় চাকরি হারানো অনেক কর্মীকেই চাকরির জন্য কম-বেশি অনেক সংস্থা ডেকেছে। লিঙ্কডিন ভরে উঠেছে এমন হাজারও চাকরি হারানোর মেটা কর্মীদের অভিজ্ঞতায়। যারা নিশ্চয়ই সামলে উঠবেন এই ধাক্কা।