মণিপুরে হিংসা ভয়াবহ আকার নিচ্ছে । হিংসার আগুনে জ্বলছে গোটা রাজ্য । ইতিমধ্যেই কত প্রাণ গিয়েছে । রেহাই পাচ্ছে না শিশুরাও । সম্প্রতি, ইম্ফলের ইরোইসেম্বা এলাকায় একটি অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন উন্মত্ত জনতা । জানা গিয়েছে, ওই অ্যাম্বুলেন্সে করে আহত ছেলের চিকিৎসরা জন্য হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মা, সঙ্গে এক প্রতিবেশী । পুলিশ প্রহরা থাকা সত্ত্বেও হিংসার আগুন থেকে রেহাই মিলল না তাঁদের । জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয় তিনজনের ।
জানা গিয়েছে, হিংসার আগুন থেকে বাঁচতে অসম রাইফেলস-এর এক শিবিরে আশ্রয় নিয়েছিল ৭ বছরের টংসিং ও তার পরিবার । কিন্তু, ৪ জুন বিকেলে,কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে গুলিবর্ষণ শুরু হয় । তখনই গুলির ভাঙা অংশ টংসিংয়ের মাথায় লাগে । প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ইম্ফলের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল । সঙ্গে ছিলেন তার মা ও এর প্রতিবেশী । পুলিশ প্রহরা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাদের । কিন্তু অভিযোগ, গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই পথে আটকে দেয় মণিপুরের অত্যন্ত শক্তিশালী মেইতেই মহিলাদের সংগঠন, ‘মেরা পাইবিস’রা। অসম রাইফেলসের এক কর্তার মতে, গুজব রটেছিল,ওই অ্যাম্বুলেন্সে গোপনে কুকি জঙ্গিদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরপরই অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরিয়ে দেয় উন্মত্ত জনতা । পুড়ে মৃত্যু হয় মা-ছেলে ও প্রতিবেশীর ।
পুলিশের তিনটি গাড়িও ধ্বংস করে জনতা। দুই পুলিশ কমান্ডো আহত হন বলে খবর ।