প্রাথমিকভাবে জয় নিয়ে অনিশ্চয়তা থাকলেও এখন আর সে অবস্থা নেই। একের পর এক দলের সমর্থন পেয়ে ভোটের আগেই কার্যত জয়ের দোরগোড়ায় এনডিএ জোট প্রার্থী দ্রৌপদী মুর্মু। বিজেডি, বিএসপি, জনতা দল(সেকুলার), টিডিপি, এআইএডিএমকে, জগনমোহনের ওয়াইএসআর, শিবসেনা, শিরোমণি অকালি দলের মতো একাধিক আঞ্চলিক দল বিজেপির রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থীকে সমর্থন জানিয়েছে। সম্প্রতি সেই দলে নাম লিখিয়েছে জেএমএমও। ইতিমধ্যেই দ্রৌপদী মুর্মুর ভোট শতাংশ গিয়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশের কাছাকাছি। ফলে ১৮ জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে জয় এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের। দ্রৌপদী মুর্মুই ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে প্রথম আদিবাসী মহিলা, যিনি রাষ্ট্রপতি পদে আসীন হবেন।
মুর্মুর ভোটের ভাগ এখন ৬১ শতাংশের উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু প্রাথমিকভাবে, তার মনোনয়নের সময় ভোট শতাংশের হার প্রায় ৫০ শতাংশ অনুমান করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (JMM) ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল মুর্মুকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানায়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় মোট ১০,৮৬,৪৩১ ভোটের মধ্যে বিভিন্ন আঞ্চলিক সংগঠনের সমর্থনের পরে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (NDA) মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে এখনই প্রায় ৬.৬৭ লাখের বেশি ভোট রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শাসক বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী দলগুলির সাংসদদের ৩.০৮ লাখ ভোট রয়েছে। বিজু জনতা দলের (বিজেডি) ভোটারদের মধ্যে প্রায় ৩২,০০০ ভোট রয়েছে, যা মোট ভোটের প্রায় ২.৯ শতাংশ।
ওড়িশার ১৪৭ সদস্যের রাজ্য বিধানসভায় বিজেডির ১১৪ জন বিধায়ক রয়েছে। সেখানেও বিজেপির ২২ জন বিধায়ক রয়েছে। লোকসভায় বিজেডির ১২ জন এবং রাজ্যসভায় ৯ জন সাংসদ রয়েছে। পাশাপাশি, মুর্মু এআইএডিএমকে (১৭,২০০ ভোট), ওয়াইএসআরসিপি (প্রায় ৪৪,০০০ ভোট), তেলেগু দেশম পার্টি (প্রায় ৬,৫০০ ভোট), শিবসেনা (২৫,০০০ ভোট) এবং জনতা দল (সেকুলার) (প্রায় ৫,৬০০ ভোট) এর সমর্থনও পেয়েছেন।