স্বাধীনতার ৭৫ বছরে নতুন সংসদ ভবনে বসতে চলেছে সোনার রাজদণ্ড 'সেঙ্গল'। ইলাদাবাদের একটি মিউজিয়াম থেকে পাঁচ ফুট উঁচু এই রাজদণ্ডটি নিয়ে আসা হচ্ছে দিল্লিতে। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার পবিত্র লগ্নে ব্রিটিশরাজের থেকে মুক্তির প্রতীক হিসাবে এই সেঙ্গল তুলে দেওয়া হয়েছিল প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর হাতে। এই রাজদণ্ডের পরিকল্পনা করেছিলেন দেশের শেষ গভর্নর জেনারেল সি রাজাগোপালাচারী। তিনিই পণ্ডিত নেহরুকে জানান, চোল রাজাদের আমল থেকে তামিলনাড়ুতে নতুন রাজার হাতে তুলে দেওয়া হয় রাজদণ্ড। সেঙ্গল’ শব্দটি তামিল শব্দ ‘সেম্মাই’ থেকে এসেছে। এর অর্থ ‘ন্যায়’
সেঙ্গলের মাথায় রয়েছে ‘নন্দী’ ষাঁড়। যা ন্যায়বিচারের প্রতীক। ইংরেজ শাসনাধীন ভারতের শেষ ভাইসরয় লর্ড ম্যাউন্টব্যাটেন পণ্ডিত নেহেরুকে প্রশ্ন করেন, ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রতীক কী হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর পেতেই রাজাজির সঙ্গে পরামর্শ করেন নেহেরু। পণ্ডিতজির পরামর্শে তামিলনাড়ুর মঠ ‘তিরুভাদুথুরাই আথিনাম’-এর সঙ্গে যোগাযোগ করেন রাজাগোপালাচারী। মঠের তৎকালীন গুরু রাজদণ্ড তৈরি করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মাদ্রাজের এক জহুরি ভুমিদি বঙ্গারু চেট্টার তৈরি করেন এই রাজদণ্ডটি।
শিল্পীর কাছ থেকে রাজদণ্ডটি নিয়ে মঠ সেটি মাউন্টব্যাটেনের হাতে তুলে দেয়। তারপর তাঁর কাছ থেকে সেটি নিয়ে গঙ্গাজলে শুদ্ধ করে ১৯৪৭ সালের ১৫ অগস্ট মধ্যরাতের মিনিট পনেরো আগে নেহরুর হাতে তুলে দেওয়া হয়। সেই সেঙ্গল ফিরছে সংসদে৷ রবিবার স্পিকারের আসনের কাছে সেটিকে স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।