নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দল পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে যারা সম্পর্ক রাখবে, তাদের গ্রেফতার করতে পারবে পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ার গতিবিধির উপরেও চলবে নজরদারি। টুইটার, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের অ্যাকাউন্ট। তামিলনাড়ু, মহারাষ্ট্র ও কেরল সরকারও PFI-কে বেআইনি সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করেছে।
পাঁচ বছরের জন্য PFI-কে বুধবার নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্র। তাদের শরিক দলগুলির উপরেও নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। শুধুমাত্র কেরলেই এই দলেরর ১৪০টির বেশি অফিস আছে। টুইটারে তাদের ৮১ হাজার ফলোয়ার ছিল। দলের সাধারণ সম্পাদক আনিস আহমেদের ও চেয়ারপার্সন এম এ সালামের অ্যাকাউন্টও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
PFI-এর ছাত্র পরিষদ এই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন। দলের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। PFI -এর উপর নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের উপর আঘাত বলেও দাবি করেছেন দলের একাধিক সদস্যরা। কেন্দ্র বুধবার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, PFI ও তার সহযোগী দলগুলি বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত আছে। যা দেশের অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর।
PFI-এর বিরুদ্ধে জঙ্গিযোগেরও অভিযোগ উঠেছে। NIA, ED দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অভিযোগ, সিমি, জেএমবি ও আইএসআইএস-এর সঙ্গে যোগ রয়েছে তাদের। অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে দলের নেতারা। তার ভিত্তিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।