সাম্প্রতি, শিশুদের মধ্যে হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ (Hand, foot and mouth disease)-এর প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টম্যাটো ফ্লু-এর (Tomato Flu in India) সংক্রমণও। এই ফ্লু আসলে এইচএফএমডি-এর একটি ভ্যারিয়েন্ট। মূলত, ৫ বছরের কম বয়সি শিশুর এই রোগ হওয়ার মূল কারণ হল কক্সাকি শ্রেণীর ভাইরাসের সংক্রমণ।
উপসর্গ
জিভে ঘা, গলায় ব্যথা, জ্বর, ত্বকে ও হাতের তালুতে লাল র্যাশ তীব্র জ্বর, গলা ব্যথা এই রোগের উপসর্গ। বাচ্চাদের মুখে লাল র্যাশ বেরোয় যা পরে ফোসকার মতো আকার নেয় এবং ঘা হয়ে যায়। ত্বকে র্যাশ বেরয় এর ১ থেকে ২ দিন পর। হাতের তালু, পায়ের পাতা, হাঁটু, কনুই, নিতম্বেও র্যাশ দেখা দিতে পারে
কীভাবে ছড়ায়?
সংক্রামিত বাচ্চার হাঁচি-কাশির মাধ্যমে বেরনো ড্রপলেট, নাকের জল, র্যাশ থেকে বেরনো রস, এবং বাচ্চার মলেও ভাইরাস থাকতে পারে ও সেখান থেকেও ছড়াতে পারে সুস্থ বাচ্চার দেহে। তাই সংক্রামিত বাচ্চার খুব কাছাকাছি অন্য কোনও সুস্থ বাচ্চা থাকলে তারও দ্রুত সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
সংক্রমণ প্রতিরোধে কী করা যেতে পারে?
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাই রোগ প্রতিরোধের একমাত্র উপায়। অর্থাৎ বাচ্চার খাবার খাওয়ার আগে হাত ধোওয়া, মলত্যাগের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখাও জরুরি। সাধারণত স্কুল থেকেই এই ধরনের সংক্রমণ বেশি করে ছড়ায়। বাচ্চার অসুখ ধরা পড়লে তাকে স্কুলে পাঠানো চলবে না অন্তত ৭ থেকে ৯ দিন।
Srijit Mukherji:হইচই-তে আবার সৃজিতের ফেলুদা সিরিজ! শুটিং-এর ফাঁকেই ঘোষণা টোটার
চিকিৎসা
সাতদিনের মধ্যে রোগ নিজের থেকেই সেরে যায়। তাই বাচ্চার এইচএফএমডি হলে আতঙ্কিত হবেন না। আলাদা করে এই ভাইরাসের জন্য কোনও ওষুধ নেই। উপসর্গ কমানোর জন্য কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে
• জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো প্যারাসিটামল খাওয়ান।
• মুখের ঘা সারাতে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো মাউথ ওয়াশ বা স্প্রে ব্যবহার করতে পারেন।
• মুখে ঘায়ের জন্য বাচ্চাদের জল পান করতে পারে না বা খাবারও খেতেও সমস্যা হয় , খাবার, জল শরীরে না গেলে সেক্ষেত্রে ডিহাইড্রেশন হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সে দিকে খেয়াল রাখা দরকার।
• শক্ত খাবার খেতে সমস্যা হলে সন্তানকে তরল খাদ্য খাওয়ান।