দিল্লির শ্রদ্ধা ওয়াকারের খুনের ঘটনায় যে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে, তাতে শিউড়ে উঠছে গোটা দেশ । দিল্লির ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার আবাসনের বাসিন্দাদের চোখে-মুখেও আতঙ্কের ছাপ । তাঁরা ভাবতেই পারছেন না নিপাট ভাল মানুষের মতো দেখতে আফতাব এমন কাজ করতে পারে । শনিবার, পুলিশ আফতাবকে গ্রেফতার না করলে কেউই সেটা জানতে পারতেন না । গত কয়েকমাস ধরে যে আফতাব এ কাণ্ড করেছে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ ।
আফতাব ও শ্রদ্ধা সম্পর্কে কী বলছেন প্রতিবেশীরা ? ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবর অনুযায়ী, ১৫ মে আফতাব ও শ্রদ্ধা ছত্তরপুর পাহাড়ি এলাকার এই আবাসনে আসেন । দু'জনেই বাড়িওয়ালার কাছে তাদের আইডি কার্ড জমা দিয়েছিল । কিন্তু, বেশিরভাগ প্রতিবেশী কখনও শ্রদ্ধাকে দেখেননি । কারণ,খুন হওয়ার আগে মাত্র তিনদিনই সেখানে ছিল শ্রদ্ধা ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী জানান, জুলাই মাসে তাঁরা এই আবাসনে এসেছেন । তিনি শ্রদ্ধাকে কোনওদিন দেখেননি, তাঁর সম্পর্কে কিছু শোনেনওনি । আফতাবকে কাজে যেতে দেখতাম । কিন্তু কোনওদিন তাকে দেখে সন্দেহ হত না । খুব নম্র স্বভাবের ছিল সে । আরেক প্রতিবেশী জানান, তিনি একদম প্রথমে শ্রদ্ধাকে এক-দু'বার দেখেছিলেন । মাঝে মাঝে আফতাব জোরে গান চালাতেন এবং কখনও কখনও তর্ক, বাকবিতন্ডা শোনা যেত, তবে এধরনের ঘটনা খুবই সাধারণ ।
একজন দোকানদার জানান, তিনি আফতাবকে রোজই দেখতেন । কিন্তু, তার সম্পর্কে কোনওদিন কিছু সন্দেহজনক চোখে পড়েনি । প্রতিবেশীরা অনেকেই ভেবেছিলেন,তিনি একা থাকেন ।
শনিবার আফতাবকে গ্রেফতারের পর, শ্রদ্ধার দেহাংশ উদ্ধার করতে পুলিশ তাকে মেহরাউলি জঙ্গলে নিয়ে যায় । সূত্রের খবর, তারা শরীরের ১৩ টি অংশ পেয়েছে । যার বেশিরভাগই হাড়। মঙ্গলবারও আফতাবকে নিয়ে মেহরাউলি জঙ্গলে যায় পুলিশ ।