‘‘সমকামী সম্পর্ক কেবল শারীরিক নয়। মানসিক ও স্থিতিশীল সম্পর্কও।’’ বিবাহের জন্য ভিন্নলিঙ্গের দুই মানুষের উপস্থিতির অপরিহার্যতা নিয়ে এবার প্রশ্ন তুলল সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ থেকে সমলিঙ্গ বিবাহ মামলায় এই প্রশ্ন তোলা হয়। সমকামী সম্পর্ক যে শুধুমাত্র শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভরশীল নয়, সে কথা পর্যবেক্ষণে বলেছে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এর পরেই ৩৭৭ ধারা প্রসঙ্গ তোলে বেঞ্চ।
সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের আইনি মতামত প্রয়োজন বলে সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছিল কেন্দ্র। কারণ হিসেবে কেন্দ্র জানিয়েছে, ’বিবাহ’ বিষয়টি দেশের সংবিধানের সপ্তম শিডিউলের কনকারেন্ট লিস্টের অন্তর্ভুক্ত। ফলে এইধরনের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারের ক্ষেত্রে সমস্ত রাজ্যের পরামর্শ নেওয়া একান্ত জরুরি। দেশের বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বাসিন্দারা এই সমলিঙ্গ বিবাহ নিয়ে ঠিক কী ভাবছেন, তা শীর্ষ আদালতের কাছে তুলে ধরা অত্যন্ত প্রয়োজন বলেই মত কেন্দ্র সরকারের।
উল্লেখ্য, 'সমকামী বিবাহ হল শহুরে অভিজাত ধারণা', সুপ্রিম কোর্টকে এমনটাই জানানো হয়েছিল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। সমকামী বিবাহের আইনি স্বীকৃতি চেয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে যে সব মামলা রুজু করা হয়েছিল, শীর্ষ আদালতের কাছে সেই সব মামলাই খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়, "সমকামী বিবাহ হল শহুরে অভিজাত ধারণা। দেশের জনসাধারণের সামাজিক মূল্যবোধের সঙ্গে যার কোনও সম্পর্ক নেই"।