কেরালার পাট্টানাম জেলায় খননকার্য চালিয়ে প্রাচীন দক্ষিণ ভারতীয় সভ্যতার সঙ্গে গ্রেকো-রোমান সভ্যতার যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল বছরখানেক আগেই। এবার, প্রত্নতাত্ত্বিকদের দল ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলবর্তী অঞ্চলে খননকার্য চালিয়ে সামনে নিয়ে এলো নতুন তথ্য।
গোটা প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চলের মাত্র ১ শতাংশেরও কম অংশে খননকার্য চালিয়ে জানা গিয়েছে, প্রাচীন পাট্টানামের অধিবাসীদের মধ্যে কোনও বিশেষ ধর্মের চর্চা ছিল না। শুধু তাই নয়, জাতিভেদও ছিল না কোনও। ছিল না বৈষম্যও। অর্থাৎ, জাতিধর্মনির্বিশেষে সার্বভৌমত্বের এক চূড়ান্ত নিদর্শন তৈরি হয়েছিল এই স্থানে প্রাচীনকালে। যা শুধু কেরালার নিরিখেই নয়, গোটা প্রাচীন ভারতের নিরিখেও, এক কথায়, অভাবনীয়! গোটা পাট্টানামেই কোনও ধর্মীয়স্থান বা দেবদেবীর মূর্তি খুঁজে পাননি প্রত্নতাত্ত্বিকরা। শুধু তাই নয়, কোনও অস্ত্রশস্ত্রের সন্ধানও পাননি প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
প্রকৃতপক্ষে, প্রাচীন পাট্টানাম ছিল এমন এক ঐতিহাসিক স্থান, যা কেবলমাত্র মানুষ-মানুষের সম্প্রীতি এবং মানুষ ও প্রকৃতির শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের এক অপূর্ব নিদর্শন হয়ে উঠেছিল খ্রিষ্টপূর্বাব্দ পঞ্চম শতাব্দীতে।
তার সঙ্গেই ছিল অত্যন্ত স্বচ্ছ সাংস্কৃতিক ও বাণিজ্যিক লেনদেনের ব্যবস্থা। প্রত্নতাত্ত্বিকরা জানাচ্ছেন, খ্রিস্টপূর্বাব্দ পঞ্চম শতাব্দীতেও অতি আধুনিক কেন্দ্র বলে বিবেচনা করা হতো পাট্টানামকে। যার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ছিল গ্রেকো-রোমান সহ মধ্য প্রাচ্যের সভ্যতারও।