ফের নজরে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। তৃতীয় চন্দ্রযাত্রায় ইসরোর হাত ধরতে চলেছে বাংলার এই বিশ্ববিদ্যালয়। দ্বিতীয় চন্দ্রযাত্রার ভুলগুলো শুধরে নেওয়া হবে তৃতীয় মিশনে। তার জন্য মহাকাশযান তৈরির প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আর সেই চন্দ্রযান অভিযানে ল্যান্ডারের মডেল বানানোর দায়িত্ব নিয়েছেন যাদবপুরের দুই অধ্যাপক।
তৃতীয়বারের জন্য চন্দ্রযাত্রার প্রস্তুতি শুরু করেছে ইসরো। এবারে চন্দ্রযান-৩ মিশনে ল্যান্ডারকে চাঁদের মাটিতে অবতরণ করাতেই হবে। হিসেবে কোনও ভুল করা চলবে না। তাই দায়িত্ব বর্তেছে যাদবপুরের দুই অভিজ্ঞ গবেষকের হাতে। ইতিমধ্যেই পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক অমিতাভ গুপ্ত ও ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন বিভাগের অধ্যাপক সায়ন চট্টোপাধ্যায় ল্যান্ডারের মডেল বানানোর কাজ শুরু করেছেন।
আরও পড়ুন- WhatsApp Features Update 2022: ভিডিয়ো কলে একসঙ্গে ৩২ জন, গ্রুপে ১০২৪ জন, নতুন আপডেট হোয়াটসঅ্যাপের
২০১৯ সালে শেষবার চাঁদের পথে পা বাড়ায় ইসরোর মহাকাশযান। কিন্তু রোভার-সহ ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদে মুখ থুবড়ে পড়তেই আর অভিযান নিয়ে আগ্রহ দেখাননি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা। মাঝে তিন বছরের অপেক্ষার পর ফের মহাকাশ পাড়ি দিতে চায় ভারত।
জানা গিয়েছে, এবারের চন্দ্রযানে থাকা মোট ১৩টি ‘থ্রাস্টার’ সফট ল্যান্ডিংয়ে সাহায্য করবে। জ্বালানি সহ মহাকাশযানটির ওজন প্রায় আড়াই হাজার কেজি হবে বলেই খবর। তবে জ্বালানিশূন্য অবস্থায় সেটির ওজন প্রায় ৫০০ কিলোগ্রামে নেমে আসবে। তাতেও রাখা থাকবে বিশেষ ক্যামেরা এবং অন্যান্য প্রযুক্তি। পাশাপাশি, অবতরণস্থল থেকে ল্যান্ডার সরে গেলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার প্রযুক্তিও দেওয়া হচ্ছে চন্দ্রযানটিতে।