শনিবার, ৬ অগাস্ট দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী ও বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের জয় এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু হাল ছাড়তে নারাজ বিরোধী মনোনীত কংগ্রেস প্রার্থী মার্গারেট আলভা। শুক্রবার তিনি সাংসদদের কাছে ‘বিবেক’ ভোটের আবেদন জানান। আবেদনে আলভা বলেন, উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে গোপন ব্যালটে। বিবেকের ডাকে সাড়া দিয়ে সাংসদরা ভোট দিন।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূল অগ্রণী ভূমিকা নিলেও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বঙ্গের শাসকদলের তরফে আগেই জানানো হয়, যেভাবে বিরোধীরা তাঁদের শীর্ষনেতৃত্বের সঙ্গে বিনা আলোচনাতেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা আপত্তিজনক। তাই ভোটদানে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত বলে তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- Due settlement:বকেয়া ১ লাখ কোটি টাকা চেয়ে বৈঠকের দিনই মোদীকে ফের চিঠি মমতার
রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, মূলত কংগ্রেসকে একঘরে করে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেদের উত্থানের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাসক তৃণমূল। উপরাষ্ট্রপতি ভোটে হারলে কংগ্রেস আরও ব্যাকফুটে চলে যাবে। ফলে ওই শূন্যতা পূরণে উঠে আসতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই তীব্র মোদী বিরোধিতার পাশাপাশি প্রধান বিজেপি বিরোধী মুখ হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতেই এমন কৌশলী চাল চেলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা। এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।