করমণ্ডল এক্সপ্রেসে সিগন্যাল ব্যবস্থার (Signalling System) জন্য বড়সড় ত্রুটি। প্রাথমিক তদন্তের পর শনিবার এমনই রিপোর্ট দিয়েছে রেলের সেফটি কমিশন। দক্ষিণ পূর্ব রেলের (South Eastern Rail) সিগন্যাল চলে রুট রিলে ইন্টারলকিং সিস্টেমে। এটি স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম। এই সিস্টেমে বিপত্তি হওয়াতেই দুর্ঘটনা বলে মনে করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ঘটনায় ২৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারই বাহানগা বাজারে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন রেলের বিভিন্ন বিভাগীয় দফতরের আধিকারিকরা। তাঁরা একটি প্রাথমিক রিপোর্ট রেলকে জমা দেন। হাতে-লেখা সেই রিপোর্টেই সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটি উল্লেখ করা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আপ মেন লাইন থেকে যাওয়ার কথা ছিল করমন্ডল এক্সপ্রেসের। প্রায় একই সময় বেঙ্গালুরু-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেসের যাওয়ার কথা ছিল ডাউন মেন লাইন দিয়ে। সূত্রের খবর, বাহানগা স্টেশনে কোনও ট্রেনেরই দাঁড়ানোর কথা নয়। রেলের ওই সূত্রের দাবি, দুটি ট্রেনেরই সিগন্যাল দিয়েছিলেন স্টেশনের সহকারী স্টেশন মাস্টার। এরপরই লুপ লাইনে ঢুকে পড়ে করমন্ডল এক্সপ্রেস।
আরও পড়ুন: মৃতদের পরিবারপিছু ২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে তৃণমূল, জানালেন অভিষেক
রেলের কাছে যে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা পড়েছে. ট্রেনটি মালগাড়ির পিছনে ধাক্কা মারে। চেন্নাইমুখী সিগন্যাল সবুজ থাকার পরেও কীভাবে করমন্ডল লুপ লাইনে ঢুকল করমন্ডল এক্সপ্রেস, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রেলকর্মীদের একাংশ। অন্য একটি অংশ প্রশ্ন তুলেছেন, ম্যানুয়ালি কোনও হস্তক্ষেপ হয়নি তো সিগন্যালে। তবে সিগন্যাল নিয়ে অভিজ্ঞরা এই প্রশ্ন মানতে চাননি। তবে সবই তদন্তসাপেক্ষ। রেলের সেফটি কমিশন এই নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, দোষীদের হলে, কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। যদিও তদন্ত কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সন্দেহ কাটছে না।