RG Kar Protest : বিচার চেয়ে আজও রাস্তায় আরজি কর, আন্দোলনের ৯০ দিন পার

Updated : Nov 07, 2024 09:15
|
Editorji News Desk

ভিও ১ : কৃষক থেকে খাদ্য। নকশাল থেকে নন্দীগ্রাম। সেই বাঁকেই বয়ে গিয়েছে গোর্খা থেকে সিঙ্গুরের গতিপথ। হ্যাঁ ঠিকই, এই বাংলাকে বলা হয় আন্দোলনের আঁতুড়ঘর। সত্যিই তো, ইংরেজদের ভারত থেকে বিদায় করার বীজও পোঁতা হয়েছিল এই বঙ্গভূমি থেকে। 

সাম্প্রতিক সময় বিভিন্ন মহল থেকে এই প্রশ্নটা বারবার উঠেছে, যে বাংলা একসময় নেতৃত্ব দিয়েছে, যে বাংলা একসময় দেশের পথপ্রদর্শক হয়েছে, সেই বাংলার কী ঝাঁঝ হারিয়ে যাচ্ছে ? প্রশ্ন উঠেছিল, বাঙালি কী প্রতিবাদ করতে ভুলে গিয়েছে ? কোথায় গেল সেই শিরদাঁড়া ? 

অতীতের বাংলায় আন্দোলনের ফসল সুভাষ চক্রবর্তী, বিমান বসু, প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো ডান-বাম নেতারা। সাম্প্রতিক সময় উদাহরণ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কী হল বাংলার ?

৯ অগাস্ট ২০২৪। আরজি কর। এই তিনটে শব্দেই যেন এক নয়া শব্দব্রহ্ম তৈরি করতে পেরেছে বঙ্গ সমাজ। গর্জে উঠেছে গোটা জাতি। মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর রাজত্বে সরকারি হাসপাতালে ধর্ষণ করে খুন এক মহিলা ডাক্তার। এই অভিযোগে সংগঠিত হয়েছে প্রতিবাদ। ১০, ২০, ৫০ দিনের গন্ডি পেরিয়ে ৯০ দিনে। বেনজির, আরজি কর আন্দোলন সম্পর্কে এই শব্দটাই ব্যবহার করছেন রাজ্যের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। একটা আন্দোলন, যা এখন বিশ্বজনীন। 

উত্তর কলকাতার রাধাগোবিন্দ করের নামাঙ্কিত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সেন্টিনারি বিল্ডিং থেকে উদ্ধার হল এক তরুণী চিকিৎসকের ক্ষতবিক্ষত দেহ। প্রাথমিক ভাবে দাবি করা হল আত্মহত্যার। ঘটনাস্থলে তৎকালীন কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল। খবর ছড়াল দাবানলের মতো। হাসপাতালের সদরে ভিড় বাড়ল বিরোধীদের। দেহ আটকে শুরু হল বামেদের বিক্ষোভ। তবুও আটকানো গেল না। প্রতিবাদে রাত থেকেই কর্মবিরতিতে বসলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। গ্রেফতার কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। উঠল বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি। সরকার ঘোষণা করল, প্রয়োজনে সিবিআই। 


খুন না আত্মহত্যা ! তুঙ্গে চাপান-উতোর। সহকর্মীর মৃত্যুর বিচার চেয়ে বাড়াল আরজি করে কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তারদের সময়সীমা। সঙ্গে দেশ। গাফিলতির অভিযোগ সরিয়ে দেওয়া হল হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে। জুনিয়রদের হাত শক্ত করে সিনিয়র ডাক্তাররা দাবি তুললেন সিবিআই তদন্তের। 

ঝাড়গ্রাম সফর থেকে কলকাতায় ফিরে নির্যাতিতার পরিবারের বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় এক ঘণ্টার কথা। তদন্ত শেষ করতে কলকাতা পুলিশের সামনে বেঁধে দেওয়া হল সাত দিনের সময়সীমা। মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিলেন, কলকাতা পুলিশ না পারলে এই ঘটনার তদন্ত রাজ্য নিজে থেকে তুলে দেবে সিবিআইয়ের হাতে। 

ঘড়ির কাঁটা বদলাতে সময় লাগল মাত্র ২৪ ঘণ্টা। কলকাতা হাই কোর্টে উঠল আরজি কর। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দায়ের করা মামলায়, কলকাতা পুলিশের হাত থেকে ঘটনার তদন্তের ভার দেওয়া হল সিবিআইকে। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা অভিযোগ করলেন, ভেঙে পড়েছে বাংলার শাসন ব্যবস্থা। 

কেন্দ্রবিন্দুতে আরজি কর। ডাক্তারদের গন্ডি পেরিয়ে এই প্রথম আন্দোলন হয়ে উঠল নাগরিক সমাজের। সোশাল মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল একটি পোস্ট। প্রেরক প্রেসিডেন্সি কলেজের পড়ুয়া রিমঝিম সিনহা। ডাক দেওয়া হল রাতদখলের। বাংলার আন্দোলনের অভিধানে যুক্ত হল এক নতুন শব্দ। 

প্রাক স্বাধীনতার রাতে এক অন্য কলকাতাকে দেখা গেল। কে বলে বাঙালির শিরদাঁড়া ভেঙে গিয়েছে। কে বলে বাঙালি প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে এসেছে। কে বলে বাঙালি অন্যের জন্য ঝাঁপাতে ভুলে গিয়েছে। সব কিছুকে মিথ্যা প্রমাণ করে ওই রাতে রাজনৈতিক পতাকার রং ভুলে সবাই আরজি করের প্রতিবাদে একজোট। তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়ল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের ধরনায়। শ্যামবাজার থেকে যাদবপুর আম-জনতার সঙ্গেই আরজি করের বিচার চেয়ে গলার শির ফুলল ঊষশী চক্রবর্তী থেকে শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। সেই তালিকায় রইলেন চৈতি ঘোষাল থেকে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়রা। 

এর আগেও অনেক হামলার সাক্ষী থেকেছে কলকাতার আরজি কর হাসপাতাল। কিন্তু ১৪ অগাস্টের রাতের ঘটনা যেন সবকিছুকে ছাপিয়ে গেল। হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে তাণ্ডব চালাল একদল দুষ্কৃতী। কারা তারা ? কেন এসেছিল ? এই প্রশ্নের মধ্যেই অভিযোগ উঠল প্রমাণ লোপাটের। 

প্রতিবাদ রাস্তায় নামার আগে প্রবল চাপে হাসপাতালের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সন্দীপ ঘোষ। জলঘোলা আরও হল, তাঁকে ফের ন্যাশনাল মেডিক্যাল হাসপাতালে বদলি করার সরকারি সিদ্ধান্তে। তাঁর বিরুদ্ধে উঠল দুর্নীতির অভিযোগ। 

রাজ্যের আদালতের পর এবার আরজি করের ঘটনা সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের ডিভিশন বেঞ্চে চলছে স্বতঃপ্রণোদিত মামলার শুনানি। গত কয়েক দিনের শুনানিতে নির্যাস, রাজ্যে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের নামে চার্জশিট ফাইল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। 

আরজি করের ঘটনায় দাবি উঠল পুলিশ কমিশনারের অপসারণের। বিনীত গোয়েলের অপসারণ চেয়ে লালবাজারের সামনে ধরনায় বসলেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা। এক বেনজির দৃশ্যের সাক্ষী রইল 

টানা ধরনার পর তৎকালীন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের কাছে স্মারক জমা দিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আরজি করের তদন্তে কলকাতা পুলিশের কোনও ভুল নেই। দাবি করলেন বিনীত। টানা ১২ দিন জেরার পর ওইদিনই দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করল হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের পর আর্থিক লেনদেন বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইডিকে যুক্ত করল কলকাতা হাই কোর্ট। এছাড়াও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগেও এখন জেল খাটছেন সন্দীপ। সঙ্গী টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। 

একদিকে আরজি করের ঘটনা। অন্যদিকে রাজ্যে ক্রমাগত বেড়ে যাওয়া নারী নির্যাতনের অভিযোগ। এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্য বিধানসভায় পাস হল অপাজিতা বিল। যেখানে ধর্ষকের শাস্তি ফাঁসি বলেই সওয়াল করল রাজ্য। এরমধ্যেই বাংলায় ধর্ষকদের এনকাউন্টার করার পক্ষেই দাবি তুললেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীরা অনড় থাকলেন আরজি কর থেকে প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে। 

থ্রেট কালচার। আরজি কর আন্দোলনে এও এক নতুন শব্দের খোঁজ। যে অভিযোগ খোদ হাসপাতালের অন্দর থেকে। জুনিয়র ডাক্তারদের তিরে শাসকের মেশিনারি। অভিযোগ, ঘূণ ধরে গিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায়। অপসারণ করতে হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে। এই দাবিতে হাসপাতালের চৌহদি ছাড়িয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন শুরু হল স্বাস্থ্য ভবনের দুয়ারে। 

জট কাটাতে ময়দানে নামল সরকার। নবান্নে ডাক পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের। ১০ দফা দাবি সঙ্গে বৈঠকের সরাসরি সম্প্রচার। জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি মানল না সরকার। ভেস্তে গেল প্রথম রাউন্ড। 

তিনি চলে যাওয়ার পরেই এবার কালীঘাটে ডাক পড়ল জুনিয়র ডাক্তারদের। এরমধ্যে ধীরে ধীরে আন্দোলনের মুখ হয়ে উঠেছেন কিঞ্জল নন্দ, দেবাশিস হালদার, অনিকেত মাহাতোদের মতো তরুণ জুনিয়র ডাক্তাররা। দ্বিতীয়
ফের বৈঠক কালীঘাটে। আরজি করের ঘটনায় প্রথম পদক্ষেপ রাজ্যের। কলকাতার পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল বিনীত গোয়েলকে। অপসারিত আরও দুই স্বাস্থ্য কর্তা। কিন্তু নিজের পদেই রয়ে গেলেন স্বাস্থ্য সচিব। রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের পরেও উঠল না জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি। 

একদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা। অন্যদিকে নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ। পাড়ায় পাড়ায় ক্ষোভের আগুন। পথে আট থেকে আশি। এই অবস্থায় সল্টলেক থেকে ধরনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জুনিয়র ডাক্তারদের। আংশিক ভাবে কর্মবিরতি প্রত্যাহার। এরমধ্যে সরকারের বিরুদ্ধে জুনিয়র ডাক্তারদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার বাম যুবনেতা কলতান দাশগুপ্ত। পরে জামিনে মুক্ত। 

ফারাক মাত্র কয়েকদিনের। রোগী মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ফের হামলা। অভিযোগ এবার কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে। ফের কর্মবিরতিতে জুনিয়র ডাক্তাররা। আরও জটিল হল আরজি কর সমস্যা। 

এর মধ্যেই জুনিয়রদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই আন্দলোন এগিয়ে নিয়ে গেলেন রাজ্যে সিনিয়র ডাক্তাররা। শুরু হল বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে গণইস্তফা দেওয়ার হিড়িক। সরকার জানাল, এই ইস্তফা বেআইনি। এরমধ্যে ১০ দফা দাবিতে নিজেদের আন্দোলনকে আরও জোরদার করলেন জুনিয়র ডাক্তারা। আন্দোলন বদলে গেল অনশনে। দেবীপক্ষে তাঁদের অনশন মঞ্চে নাগরিক সমাজের যোগদানের রোশনাইতে ম্লান হল তিলোত্তমার পুজোর আলো। 

এক শহরে দুই কার্নিভাল। রেড রোড জুড়ে উৎসবের। আর রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ে দ্রোহের। যা নিয়ে টানাপোড়েন গড়াল সেই আদালত পর্যন্ত। অবশেষে আদালতের নির্দেশে ঢাকের বোল বেজে উঠল ধর্মতলা চত্বরে। সঙ্গে জটিল হল অনশন পরিস্থিতি। একে একে অসুস্থ হলেন জুনিয়র ডাক্তররা। 

আর বিলম্ব নয়। এবার আদাজল খেয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন ভাঙতে ময়দানে নামল নবান্ন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন মঞ্চে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী। অনশনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা মুখ্যমন্ত্রীর। 

আটচল্লিশ ঘণ্টা পর। নবান্নে শুরু ফের বৈঠক। রাজনৈতিক মহল দাবি করল, জুনিয়র ডাক্তারদের ১৭ দিনের অনশন ভাঙতে নিজের তূণ থেকে সেরা তাসটা খেললেন মুখ্যমন্ত্রী।

অনশন উঠল। রাজ্যের চাপে নয়। জুনিয়র ডাক্তাররা দাবি করলেন, নির্যাতিতার পরিবারের অনুরোধে। কিন্তু আন্দোলন চলবে। দেবাশিস, কিঞ্জলরা তাঁদের শরীরী ভাষায় তা বুঝিয়ে দিলেন। আরজি হাসপাতালে হল গণ-কনভেনশন। আর এই সময়ের মধ্যে একটি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শহরে তৈরি হল আরও বেশ কয়েকটি আন্দোলন। আসফাকুল্লা, অর্ণবদের ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্টের পাল্টা হল শ্রীশদের ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। সেই সংগঠনকে ছাপিয়ে তাতে যুক্ত হল প্রোগেসিভ। তৈরি হল নতুন মঞ্চ। 

এসবের মধ্যেই বিশেষ সিবিআই আদালতে শুরু হল এই ঘটনায় অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে বিচারের প্রক্রিয়া। আদালতের নির্দেশ ১১ নভেম্বর থেকে রোজ চলবে শুনানি। সরকার তাঁকে ফাসিয়েছে। এর আগে বহুবার তাঁর নার্কো টেস্ট করার জন্য আদালতে আবেদন করেছিল সিবিআই। তা নাকচ হয়েছে। কিন্তু আদালতে হাজিরা দিয়ে সঞ্জয়ের এই দাবি, আরজি কর আন্দোলনকে নতুন করে অক্সিজেন দিল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের। 

RG Kar Protest

Recommended For You

editorji | কলকাতা

Sampriti Overpool: ৮ ঘণ্টা সম্প্রীতি উড়ালপুলে যান চলাচল বন্ধ, ৯০ দিন কীভাবে যাতায়াত করবেন!

editorji | কলকাতা

Kolkata Yellow Taxi: মিটার ডাউন! কলকাতার বৃদ্ধ হলুদ ট্যাক্সি, ঐতিহ্য নাকি আদিখ্যেতা? কী বলছে শহর?

editorji | কলকাতা

Jagannath Temple Digha: জগন্নাথ দেবকে আর প্রসাদে দেওয়া হবে না খাজা

editorji | কলকাতা

Kolkata Yellow Taxi: দূষণ গেরোয় ফ্যাকাসে হলুদ, রাজপথে বাতিলের খাতায় কলকাতার 'বৃদ্ধ' ট্যাক্সি

editorji | কলকাতা

Mamata Banerjee : ভারত সরকার হিন্দুদের রক্ষা করুক, বাংলাদেশে ইস্যুতে কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেললেন মমতা