যাদবপুর যেন তৃণমূলের কাছে এখনও দুর্ভেদ্য দুর্গ। ওই অঞ্চলে বাংলার শাসক দলের সাংসদ আছেন, বিধায়ক আছেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এখনও পায়ের নিচের জমি তেমন শক্ত হয়নি। তাই, গত কয়েক বছরে যতবারই অশান্ত হয়েছে যাদবপুর রাজনৈতিক মহল দাবি করে ততবারই সুযোগ খুঁজেছে বাংলার শাসক দল। সম্প্রতি, যাদবপুরে অচলবস্থা চলছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর শাস্তির দাবিতে অবস্থানে বাম-অতিবাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা। অসুস্থ উপাচার্য ভাস্কর গুপ্ত আপাতত হাসপাতালে। তাই, এবারও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে দিশাহীন আম আদমি থেকে অভিভাবকরা।
তবে এবারের বিধায়ক রাজ চক্রবর্তীর একটি মন্তব্য ঘিরে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা। অনেক ঘটনাতেই তিনি দূরত্ব বজায় রাখেন। সচরাচর বিতর্ক হতে পারে এমন কোনও ঘটনায় তাঁর মন্তব্য খুব বেশি শোনা যায় না। তবে যাদবপুর ইস্যুতে রাজ জানিয়েছেন, দুমিনিট সময় লাগবে তৃণমূল কর্মীদের উগ্র হতে।
আপাত শান্ত ব্যারাকপুরের বিধায়কের এহেন মন্তব্যে অবাক রাজনৈতিক মহল। চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে রাজের এই মন্তব্য ঘিরে। কারণ, গত শনিবার যাদবপুর ক্যাম্পাসের মধ্যে শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি ঘিরে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছিল তা আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ব্রাত্যকে কভার করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে সাংসদ সায়নী ঘোষ। ‘জঙ্গি’ বাম ছাত্রনেতাদের হাত থেকে যাদবপুরকে উদ্ধার করতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় চেয়েছেন কামারহাটি বিধায়ক মদন মিত্র।
রাজনৈতিক মহলের দাবি তৃনমূলের লাইন মেনেই যাদবপুর প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন রাজ চক্রবর্তী। তাঁর দাওয়াই চাইলে বিরোধিদের শায়েস্তা করতে পারেন তৃণমূল কর্মীরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তা সমর্থন করে না। এই প্রসঙ্গে বাম আমলকে টেনে আনেন বিধায়ক-পরিচালক। তিনি জানান, CPIM এর জমানা হলে এতদিনে ছাত্রনেতাদের লাশ পাওয়া যেত খালে।
যাদবপুর প্রসঙ্গে রাজের এই মন্তব্য নিয়ে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া নেই তৃণমূলের। তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনেক দূরে লেকটাউন কালিন্দি চত্বরে গত শনিবারের ঘটনার প্রভাব কিন্তু জ্বলজ্বল করছে। ‘Wanted’ ক্রিমিনাল ব্রাত্য বসু। খোদ শিক্ষামন্ত্রীর পাড়াতেই দেখা যাচ্ছে এই পোস্টার। পোস্টার সৌজন্যে SFI ।