বুধবারের দুপুর। ফের পুলিশ এল ট্যাংরার অতুল শূর লেনে। ঠিক যেমনটা এসেছিল বেশ কয়েকদিন আগে। দরজা ভেঙে ঢুকেছিল দে বাড়িতে। তিনটে আলাদা আলাদা জায়গা থেকে উদ্ধার করেছিল দুই মহিলা-সহ এক নাবালিকার দেহ। তারপর যা হয়েছিল, সেটা শহরের অপরাধের ইতিহাসে সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বড় চাঞ্চল্য।
এদিন পুলিশের গাড়িতে নেমেই বাড়িতে ঢুকলেন দে বাড়ির ছোট ছেলে প্রসূন। যাঁকে মঙ্গলবারই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগ, স্ত্রী, বউদি-সহ নিজের মেয়েকে খুন করার। তাঁর বিরুদ্ধে বয়ান দিয়েছে এই বাড়ির আর এক নাবালক।
সম্প্রতি শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে ওই নাবালকের বয়ান ছিল, কাকাই তাঁর মা, কাকিমা এবং বোনকে খুন করছেন। সেই বয়ানের ভিত্তিতেই ট্যাংরার ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে দুই ভাই প্রতুল দে এবং প্রসূন দে-কে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় নিজের দোষের কথা কার্যত কবুল করেছেন প্রসূন। নিজেই নাকি এই ঘটনায় চরম সাজা চেয়েছেন। পুলিশকে দাদা প্রতুল জানিয়েছেন, দেনা দায় মুক্ত হতেই ভাই প্রসূনের পরামর্শেই কাজ করেছিলেন। শেষ করতে চেয়েছিলেন নিজেদেরকে।
পুলিশকে প্রসূন জানিয়েছেন, স্ত্রী রোমির সাহায্যেই প্রথমে নিজের মেয়ে প্রিয়ম্বদার মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন তিনি। তারপর শেষ করেছেন স্ত্রী রোমিকে। এরপর গিয়েছিলেন বউদিকে খুন করতে। পুর কথা প্রসূন সত্যি বলছেন কীনা, তা খতিয়ে দেখতেই এদিন ট্যাংরার অতুল শূর লেনে যায় কলকাতা পুলিশ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারির ঘটনার পুনর্নিমাণ করা হয়।
ওই দিন সাতসকালে ইএম বাইপাসের অভিষিক্তার কাছে গাড়ি দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। ওই সূত্র ধরেই ট্যাংরার বাড়িতে গিয়েছিল কলকাতা পুলিশের একটি দল। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় তিনটি দেহ। ঘটনার তদন্তে উঠে আসে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।