তিনি এলেন, মঞ্চে উঠলেন আর ২০২৬ সালে বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করে দিলেন। তিনি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি ইন্ডোরের মঞ্চে তিনি কি থাকবেন ? এই প্রশ্ন যাঁদের মনে ছিল, তাঁদেরও এদিন মঞ্চ থেকে বার্তা দিলেন অভিষেক। তিনি জানান, দল বিরোধী কাজের জন্য ঠিক যেভাবে মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে চিহ্নিত করেছিলেন, ভবিষ্যতে দলের বিরুদ্ধে গিয়ে যাঁরা কাজ করবেন, তাঁদের চিহ্নিত করার দায়িত্বও তাঁর।
রাজনৈতিক মহলের মতে, শৃঙ্খলার প্রশ্নে তৃণমূলকে এই বার্তায় অভিষেক বুঝিয়ে দিলেন তিনি এখনও এই দলের ‘যুবরাজ’। আর তাই ক্ষমতার মেরুকরণ নিয়ে যে প্রশ্নই তৃণমূলের অন্দরে থাকুক না কেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরবর্তী হিসাবে তিনিই বাংলার শাসক দলের অন্দরে শেষকথা।
গত বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় ২১৪ নিয়ে বিজেপিকে রুখেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের সভায় অভিষেকের দাবি, ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে সেই সংখ্যাকে ছাপিয়ে যেতে হবে। আর এই আসন জিততে হলে এখনই থেকে মাঠে নামতে কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের অভিষেকের ভাষণে সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ অংশ ছিল শৃঙ্খলা নিয়ে দলকে বার্তার দেওয়া। সাম্প্রতিক সময়ে তৃণমূলের মধ্যে থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে অনেককেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে। নাম না করলেও, তাঁদের পদ তুলে এদিন বার্তা দিলেন অভিষেক। বুঝিয়ে দিলেন, এই ব্যাপারে তাঁর বার্তা সবুজ-সংকেত পাওয়ার পরেই।
সিবিআই চার্জশিট নিয়েও এদিন মঞ্চে মুখ খোলেন অভিষেক। জানান, ২৮ পাতার চার্জশিটে তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে দু’বার। সেটাও ভাববাচ্যে বলে দাবি করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। সবমিলিয়ে এদিন নেতাজি ইন্ডোরের সভা থেকে যা নির্যাস, তা-হল, পাখির চোখ বিধানসভা ভোট। লক্ষ্যমাত্রা ২১৫, তার কম মোটেই নয়।