আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Alia University) ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। একটি ফোনালাপ সামনে এনে এমনই দাবি ছাত্রছাত্রীদের (Students) একাংশের। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে হেনস্থার ঘটনা নিয়ে তোলপাড় শিক্ষামহল। মূল অভিযুক্ত গিয়াসুদ্দিন মণ্ডলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) দাবি, গিয়াসুদ্দিনের সঙ্গে এই ঘটনার যোগ নেই।
পড়ুয়াদের দাবি, ওই ফোনালাপে দুই তৃণমূলের ছাত্রনেতার কথোপকথন এটি। একজন আলিয়ার প্রাক্তন ছাত্র ও অন্যজন তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। ফোনের একপ্রান্তে বলা হয়, এই নিয়ে রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। উপাচার্যকে তিনি নিজেই বের করে দেবেন। কিন্তু সঙ্গে একজন লাগবে। ওই ব্যক্তির দাবি, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, গোলাম রব্বানির মতো রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাঁর।
Editorji এই অডিওর সত্যতা যাচাই করেনি।
আরও পড়ুন: আলিয়ার উপাচার্যকে হেনস্থা করা বহিষ্কৃত ছাত্রনেতাকে গ্রেফতার করল পুলিশ
ফোনালাপে শোনা যায়, "যদি সৎসাহস থাকে, তাহলে আমি আর তুমি দুজন মিলে ওকে বের করে দেব। আমি নিজে বের করে দেব। কিন্তু সঙ্গে ওকে চাই।" তাঁকে বলতে শোনা যায়, "গোলাম রব্বানি, ববিদা আমাকে এক সপ্তাহ টাইম দিয়েছিল। নতুন কোনও ভিসি আসবে জানি। ও এখন সায়নী ঘোষের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে মেয়াদ বাড়াতে চাইছে। ওকে এক সপ্তাহের মধ্য়েই বের হতেই পারে। কিন্তু ওকে অপমান করে তাড়িয়ে দিতে বলেছে।" ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয়, "এটা কি নেতৃত্ব বলেছে?" জবাব আসে হ্যাঁ।