একদিকে মানিক ভট্টাচার্যকে পর্ষদ সভাপতির পদ থেকে অপসারণ, অন্যদিকে টেট মামলায় ভুয়ো পরিক্ষার্থীদের চাকরি বাতিল। সুপ্রিম কোর্টের জোড়া স্থগিতাদেশের পরেও হাল ছাড়ছেন না আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, সুপ্রিম কোর্ট টেট মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়নি। ফলে মামলা চালাতে কোনও সমস্যা নেই। এমনকি, সিবিআইকে চার সপ্তাহের মধ্যেই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট পেশের নির্দেশও দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। যা যথেষ্ট ইতিবাচক বলেই মত বিকাশের।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশে টেট মামলায় তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এই নির্দেশেই পরে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির পদ খোয়ান বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয় বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়া ২৬৯ জন টেট পরীক্ষার্থীকেও। এমনকি পলাশীপাড়ার তৃণমূল বিধায়ককে নিজের এবং পরিবারের সম্পত্তির হিসাবও জমা দিতে বলা হয় আদালতে। মানিক ভট্টাচার্য সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই মামলা করেন সুপ্রিম কোর্টে। মঙ্গলবার যার শুনানিতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সিবিআই তদন্তে স্থগিতাদেশ না দিলেও মানিকের অপসারণ এবং ২৬৯ জনের চাকরি বরখাস্তের নির্দেশে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার থেকে আমরণ অনশনে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। টানা রোদে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেকে। মঙ্গলবার ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেই খবর। তাঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, তাঁরা আট বছর ধরে বেকার। চাকরির দাবিতে রাস্তায় রাস্তায় দিন কাটছে তাঁদের। চাকরির বয়েস পেরিয়ে গিয়েছে অনেকেরই।