SSC নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার মিডলম্যান প্রসন্ন রায়কে ২ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। সোমবার ফের তাকে আদালতে পেশ করা হবে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে। সিবিআই সূত্রে খবর, রঙের মিস্ত্রী ছিল প্রসন্ন। সেখান থেকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয় সে।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ ছিল প্রসন্ন। এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এক মিডলম্যান প্রদীপ সিংকে গ্রেফতার করে সিবিআই। তার মাধ্যমেই প্রসন্নের খোঁজ পান গোয়েন্দারা। একটি গাড়ি ভাড়া দেওয়ার সংস্থা ছিল প্রসন্নর। গোয়েন্দাদের অনুমান, রাত ১০টার পর গাড়ি করে টাকা যেত প্রসন্নর সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিসে। আড়াল থেকেই টাকার লেনদেন চলত। সিবিআই সূত্রে খবর, ওই অফিসে কালো এসইউভি গাড়ি রাখা থাকত। তা ব্যবহার করেই টাকা আনা হত। প্রসন্নের অফিসের গাড়ি শান্তিপ্রসাদ সিনহার কাছে যাওয়ার তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। প্রসন্নের থেকে গাড়ি চেয়ে পাঠাতেন শান্তিপ্রসাদও। গোয়েন্দাদের সন্দেহ, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা, কীভাবে সাদা করা যায়, সেই কাজই চালাত প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিং।
সিবিআই সূত্রে খবর, রিয়েল এস্টেট সহ প্রসন্ন রায়ের একাধিক ব্যবসায় এসএসসি দুর্নীতির টাকা খাটানো হত। অভিযোগ, মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ হওয়ায় একপ্রকার প্রভাব খাটিয়ে সল্টলেকের জিডি ব্লকের অফিস দখল করে রেখেছিল প্রসন্ন রায়। প্রসন্ন রায় ও প্রদীপ সিংয়ের ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসে পৌঁছেছে। জানা গিয়েছে, প্রসন্নের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করত প্রদীপ সিং। সূত্রের খবর, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার নিয়োগ সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনর ডিল হত এই অফিস থেকে। তাদের কাছে এমন চাকরিপ্রার্থীদের তালিকাও থাকত বলে সূত্রের খবর।