আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বাড়ি থেকে উদ্ধার গুরুত্বপূর্ণ নথি। সিবিআই সূত্রে বৃহস্পতিবার এই দাবি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অভিযোগের ভিত্তিতে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, সেই নথিই উদ্ধার করা হয়েছে। ২০২২-২৩ সালে আরজি কর হাসপাতালে নিয়োগ করা হয়েছিল ৮৪ জন হাউজ স্টাফকে। নিয়োগের জন্য গঠন করা হয়েছিল ১৩ জনের কমিটি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, এই নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে। কারণ, ওই ৮৪ জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল কমিটির সুপারিশ ছাড়াই। এর পাশাপাশি তিনটি সংস্থাকে বেআইনি ভাবে টেন্ডার পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে।
সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল RG কর হাসপাতালের মহিলা চিকিৎসকের দেহ। আর তার কয়েকদিন পরেই ভাঙা হয়েছিল সেমিনার রুমের পাশের একটি ঘর। যা ঘিরে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়। জানা গিয়েছে ওই ঘর ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন RG কর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
RG কর কাণ্ডের প্রথমে তদন্ত শুরু করছিল কলকাতা পুলিশ। তারপর সেই তদন্তভার গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা CBI-এর হাতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দায়িত্বভার হাতে পাওয়ার দিনই ভেঙে ফেলা হয় সেমিনার রুমের পাশের একটি ঘর এবং শৌচালয়ের দেওয়াল। PWD-র তরফে ওই ঘর ভাঙা হচ্ছিল।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, PWD-কে দেওয়া পারমিশন লেটার উদ্ধার করেন CBI গোয়েন্দারা। সেখানে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের সই ছিল। তিনি পূর্ত দফতরের সিভিল এবং ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ইঞ্জিনিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তারপরই ওই ঘর ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল।
অন্যদিকে আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তে আরও একটি চাঞ্চল্যকর বিষয় উঠে এসেছে। জানা গিয়েছে, অ্যাকাডেমিক ফান্ডের টাকা অন্য খাতে খরচ করতেন সন্দীপ ঘোষ। জানা গিয়েছে, নিজের পছন্দের কন্ট্রাকটরদের বিভিন্ন কাজের বরাত দেওয়া হত। তারপর কাজ শেষে অ্য়াকাডেমিক ফান্ডের টাকা দিয়ে তাঁদের বিল মেটানো হয়। এবং সেই টাকার কিছু টাকা ফের সন্দীপের পকেটে আসত।
CBI-তদন্তকারী আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, পুরো বিষয়টি যাতে কেউ না জানতে পারে তার জন্য বিভিন্ন কারসাজি করেন সন্দীপ ঘোষ। যার ফলে পুরো দুর্নীতি এতদিন ধরে প্রকাশ্যে আসেনি।