সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় হতে হবে দলের কাউন্সিলর, বিধায়ক থেকে সাংসদদের । টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসে সমাবেশের মঞ্চ থেকে এমনটাই বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মন্ত্রিসভার বৈঠকেও আবারও সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন মন্ত্রীদের । নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে, মুখ্যমন্ত্রীর কড়া বার্তা, যাঁরা সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন, এবার তাঁদের অ্যাক্টিভ হতে হবে । দলের বিরুদ্ধে যে ভুয়ো তথ্য, ভুয়ো ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে সত্যিটা মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে সোশ্যাল মিডিয়াতেই । সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী এবং অভিষেকের পোস্ট শেয়ার করে দলের বক্তব্য প্রচার করতে হবে মন্ত্রীদের । এমনই নির্দেশ দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।
রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে দু'টি দফতরের কাজ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । একটা হল সেচ ও আরেকটা হল পঞ্চায়েত দফতর । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই দুই দফতর নিয়ে প্রচুর অভিযোগ তাঁর কাছে জমা পড়েছে । মানুষের অসুবিধা হলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না । ওই দুই দফতরের মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । উল্লেখ্য, সেচ দফতরের দায়িত্বে রয়েছেন মানস ভুঁইয়া । আর পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা ।
উল্লেখ্য, তৃণমূলের বহু নেতা-মন্ত্রী সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয় নন । এ নিয়ে দলের অন্দরেই অসন্তোষ তৈরি হচ্ছিল । তৃণমূলের সমাজমাধ্যমের এক কর্মসূচিতে সেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন অনেকেই । তৃণমূলের বহু নেতা সমাজমাধ্যমে সক্রিয় না থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন । এরপরই টিএমসিপি-র প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে দলের সমস্ত নেতা-কর্মীদের সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
মেয়ো রোডের সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতা-মন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেছিলেন,' আপনারা কেন সমাজমাধ্যমে সক্রিয় নন? পার্টি যখন করছে, আপনাদেরও এই কাজ করতে হবে । ভুয়ো ভিডিয়োর বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় আমাদের লড়াই করতে হবে। দলে যাঁরা আছেন, ব্লক সভাপতি, কাউন্সিলর, বিধায়ক, সাংসদ— সকলকে এই কাজ করতে হবে। ভুয়ো ভিডিয়ো ছড়াচ্ছে । সত্যিটা বলে তার মোকাবিলা করতে হবে ।' মন্ত্রিসভা তা আরও স্পষ্ট করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
উল্লেখ্য, টিএমসিপি প্রতিষ্ঠা দিবস আর জি করের নির্যাতিতাকে উৎসর্গ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ওই ঘটনার পর থেকেই দোষীদের ফাঁসির দাবিতে অনড় মমতা । সমাবেশ থেকে তিনি জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে স্পিকারকে বলে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকা হবে। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ‘ধর্ষকের ফাঁসি চাই’ এই বিল এনে পাশ করিয়ে তা রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে ।