রাজ্য পুলিশ দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। আর তারপরেই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। ইতিমধ্যেই কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বাম এবং কংগ্রেস।
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচন রাজ্য পুলিশ দিয়ে করানো হয়েছিল। কিন্তু নির্বাচনে প্রহসনের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। এমনকি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি উঠেছিল। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে ফের কমিশনের রাজ্য পুলিশের উপর আস্থা দেখে স্বাভাবিক ভাবেই সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছে বিরোধীরা। এমনকি আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
এই প্রসঙ্গে অধীর বলেন, 'এই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নির্বাচন কমিশন। তাই স্বাভাবিকভাবেই তারা সরকারি দলের কথায় ওঠাবসা করছে। নির্বাচনে সন্ত্রাস হলেও কমিশন কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এই কমিশনের কাছে ভোট করানো মানে তৃণমূল নেতার অধীনে ভোট করানো। হিংসা-হানাহানি করে ইলেকশনকে সিলেকশনে পরিণত করা হয়েছে। কুড়ি হাজার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অধিনে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। এই দাবি না মানা হলে প্রয়োজনে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আদালতে যাব।'
মঙ্গলবার একই সুর শোনা যায় সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তীর কথাতেও। তিনি বলেন, 'ভোট হলেই তৃণমূল হারবে। সেই কারণেই রাজ্য পুলিশ দিয়ে ভোট করানো হচ্ছে ভোট লুঠ করার জন্য। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে নমিনেশন দেওয়া যায়নি। নমিনেশন দিলেও ভোট করা যায়নি। যদিও কেউ জেতে তাঁর সার্টিফিকেট কেড়ে নেওয়া হবে। ত্রিপুরায় বিজেপি যা করেছে পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল তাই করছে। মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে।'