আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস । বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছন তিনি । ঘুরে দেখেন এমার্জেন্সি বিল্ডিং । একইসঙ্গে আন্দোনকারী ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি তাঁদের সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যপাল । এদিকে আরজি করে ভাঙচুর ও হামলার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯ জনকে । লালবাজার সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে । উল্লেখ্য, স্বাধীনতার মধ্যরাতে যখন মেয়েরা পথে পথে গর্জে উঠেছিলেন, উলু, শঙ্খধ্বনিতে অন্যায়ের প্রতিবাদ ও নারী স্বাধীনতার কথা বলছিলেন তাঁরা, ঠিক সেইসময় রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগ উঠেছিল । সেই ঘটনাতে জড়িত সন্দেহে ওই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর ।
রাজ্যপাল কী বললেন ?
বুধবার সন্ধ্যায় প্রথম আরজি করের ঘটনা নিয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল । তিনি জানান, যা ঘটেছে, তা গোটা বাংলার কাছে লজ্জার। এরপর এদিন দুপুরে হাসপাতালে পৌঁছন তিনি । রাজ্যপাল সেখানে যেতেই আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে ঘিরে বিভিন্ন প্রশ্ন করতে শুরু করে । আরজি করের ঘটনায় রাজ্যপালের পদক্ষেপ কী হবে, হাসপাতালে ভাঙচুর, নিরাপত্তা ইত্যাদি প্রসঙ্গে ওঠা প্রশ্নের জবাবে সিভি আনন্দ বোস জানান, তিনি সঙ্গে আছেন । বিচার তাঁরা পাবেন । সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আপাতত সব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে হবে । তারপর তাঁদের সঙ্গে কথা বলে, সকলের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করবেন বলে জানিয়েছেন ।
এদিকে, হাসপাতালে ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েক জনের ছবি প্রকাশ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘সন্ধান চাই’ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কলকাতা পুলিশ ! বৃহস্পতিবার কলকাতা পুলিশের ফেসবুক পেজ থেকে খান ষাটেক ছবি প্রকাশ করে বেশ কয়েক জন পুরুষ ও মহিলাকে চিহ্নিত করে তাঁদের সন্ধান চেয়েছে পুলিশ । ছবিতে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা মুখেদের খোঁজ থাকলে থানায় অথবা ওই পেজেই সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ডিউটিরত মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার প্রতিবাদ কর্মসূচির মধ্যেই বুধবার রাতে আরজি কর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেট ভেঙে ভিতরে ঢুকে তাণ্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, ভাঙচুর করা হয় আরজি করের পুলিশ ফাঁড়ি, এমনকি আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের মঞ্চও!