টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটি সাউথ আবাসনে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের একটি ফ্ল্যাটে এখন অনাদরে বন্দি হয়ে রয়েছে অন্তত ন’টি উন্নত প্রজাতির সারমেয়। যাদের মোট দাম চার লাখ টাকারও বেশি। অর্পিতার তত্ত্বাবধানে থাকলেও ওই সারমেয়গুলি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বলেই জানেন ওই আবাসনের বাসিন্দারা। উন্নত প্রজাতির ওই গৃহপালিত কুকুরগুলি কী ভাবে রয়েছে, কী খাচ্ছে, তা নিয়ে চিন্তা করার মতো অবস্থায় নেই ইডির হেফাজতে-থাকা প্রাক্তন মন্ত্রী বা তাঁর ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা। যদিও গভীরভাবে চিন্তিত আবাসনের পশুপ্রেমী বাসিন্দারা।
প্রতিবেশীদের বক্তব্য, ওই সারমেয়গুলির মধ্যে একটি রটওয়েলার, একটি ইংলিশ বুলডগ, একটি ফ্রেঞ্চ বুলডগ। তা ছাড়াও রয়েছে একটি করে পাগ এবং বিগ্ল প্রজাতির কুকুর। রয়েছে দু’টি করে ল্যাব্রাডর এবং গোল্ডেন রিট্রিভার। ওই আবাসনের ১৯ তলায় পাশাপাশি দু’টি দু’কামরার ফ্ল্যাট রয়েছে অর্পিতার। যদিও মাঝের দেওয়াল ভেঙে দু’টি ফ্ল্যাটকে মিলিয়ে এক করে নেওয়া হয়। পাশের ফ্ল্যাটগুলির মাপ অনুযায়ী ১৯ তলার ওই দু’টি ফ্ল্যাটের মোট আয়তন বড়জোর ১,৬০০ বর্গফুট। তার মধ্যেই রয়েছে ওই ন’টি সারমেয়।
আরও পড়ুন- SSC Scam:মেধা তালিকায় থাকা সকলকে চাকরি, আশ্বাস দিলেন অভিষেক
যদিও মন্ত্রীর সারমেয়-শখ নিয়ে কেউ কখনও কিছু বলেননি। তবে কুকুরের প্রশিক্ষকরা যখন সেই সারমেয়গুলিকে নীচে নামাতেন, তখন প্রতিবেশীরা অবাক হয়ে দেখতেন। বেশি আকর্ষক ছিল রটওয়েলারটি, মত পশুপ্রেমী আবাসিকদের। কুকুর ভালবাসেন, এমন অনেক প্রতিবেশীই এগিয়ে আসতেন তাকে আদর করতে। এখন তাঁদের উদ্বেগ সবচেয়ে বেশি। কারণ, গত প্রায় দু’মাস ধরে আবাসনের ওই নয় বাসিন্দা ফ্ল্যাটের বাইরে বেরোয়নি। যখন থেকে আদালতে পার্থর কুকুর এবং সম্পত্তি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে, তখন থেকে প্রশিক্ষকদেরও দেখা যায়নি। ফলে সারমেয়গুলিও আর নীচে নামতে পারে না। তবে কি ঘরেই যাবতীয় বর্জ্য ত্যাগ করছে তারা? করলেও তা সাফ করছে কে? ফ্ল্যাটের বাতানুকূল যন্ত্র চলছে তো? সারমেয়গুলি নিয়মিত খাবার পাচ্ছে তো? তা নিয়ে চিন্তিত আবাসনের বাসিন্দাদের একাংশ।