আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে ইডি। শুক্রবার রাজ্য়ের সাত জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই তল্লাশিতে কী কী বাজেয়াপ্ত হয়েছে, তারই খতিয়ান দিল ইডি। মঙ্গলবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি পেয়েছে তাঁরা ইডি। আরজি করে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত হয়েছে বেশ কয়েকটি ডিজিটাল ডিভাইসও।
আর্থিক দুর্নীতি তদন্তে শুক্রবার সন্দীপ ঘোষের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তদন্ত করে ইডি। শুক্রবার সন্দীপের বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি করে ইডি। ইডির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সে দিনের তল্লাশিতে ইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সন্দীপ ও তাঁর স্ত্রী সঙ্গীতা রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়াই দুটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। যদিও ২০২১ সালে সঙ্গীতার নামে সন্দীপ আরও একটি সম্পত্তি কিনেছিলেন। সেটির যদিও অনুমোদন ছিল।
ইডি জানিয়েছে, তল্লাশি অভিযানের সময় সম্পত্তি সম্পর্কিত নথি পাওয়া যায়। মুর্শিদাবাদে একটি ফ্ল্যাট, কলকাতায় তিনটি ফ্ল্য়াট আছে সন্দীপ ও সঙ্গীতার। কলকাতায় দুটি বাড়ি ও তাঁদের মালিকাধীন একটি খামারবাড়ি সম্পর্কিত নথিপত্র পাওয়া গিয়েছে। তল্লাশির সময় সন্দীপের বিভিন্ন নথি এবং ডিজিটাল ডিভাইস বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির সন্দেহ এই সম্পত্তিগুলি দুর্নীতির টাকাতেই কিনেছেন সন্দীপ ঘোষ।
শুক্রবার কলকাতা, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ হুগলির একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। ভোর ৬টায় প্রথম সন্দীপের বেলেঘাটার বাড়িতে গিয়ে ফিরে আসতে হয়। পরে আবার যায় ইডি। চন্দননগরের সন্দীপ ঘোষের শ্বশুরবাড়িতেও হানা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তালাবন্ধ বাড়ির সামনে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার বৈদ্যবাটিতে যায় ইডি। কুণাল রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয়। হাওড়ার বিপ্লব সিং ও কৌশিক কোলের বাড়িতেও হানা দেয় ইডিয দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সুভাষগ্রামে প্রসূণ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতেও হানা দিয়েছিল ইডি। সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ প্রসূণকে আটকও করেছিল ইডি।