হাওড়া ও শিয়ালদহ লাইনে মোট ৪৭টি ট্রেনে হকারি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত। হকাররা যে সব সরঞ্জাম বিক্রি করেন, তা এবার পাওয়া যাবে ভেন্ডারদের থেকে। নয়ডার এক সংস্থাকে ইতিমধ্যে দায়িত্বও দিয়েছে রেল। বেআইনিভাবে কেউ উঠলে গ্রেফতার করা হবে ওই হকারদের। এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামবে তৃণমূল। জানিয়েছেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।
আইসক্রিম থেকে বাদাম, সিঙাড়া থেকে চা, সবই পাওয়া যাবে এই ভেন্ডারদের থেকেই। বহু বছর ধরে যারা ট্রেনে হকারি করে সংসার চালাতেন, তাদের রুজিরুটির সমস্যা দেখা দেবে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় এই সিদ্ধান্তকে ভয়াবহ বলে ব্যাখ্যা করেছেন। তাঁর মতে, কর্পোরেটাইজেশনের ফলে গরিব মানুষরা কাজ হারাবে। বিকল্প পথও পাবেন না। এই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য আন্দোলনে নামা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
IRCTC-এর সঙ্গে নয়ডার একটি সংস্থা চুক্তি করেছে। সম্প্রতি মিথিলা এক্সপ্রেসে ভেন্ডিং করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হন ওই কর্মীরা। টিকিট পরীক্ষক থেকে জিআরপি-কে অভিযোগ করেও সুফল পায়নি। এরপরই নড়েচড়ে বসে আরপিএফ। প্রত্যেক ডিভিশন লিখিতভাবে জানানো হয় নির্ধারিত চ্রেনে বেআইনিভাবে পণ্য বিক্রি করলে হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।