প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারির পর থেকে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি ইডি সূত্রে জানা যাচ্ছে, ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য নিজের প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা থেকে টাকা তুলেছেন। মানিক-পুত্র শৌভিকের কনসালটেন্সি ফার্মের নামে রাজ্যের ৫৩০ টি কলেজ থেকে প্রায় ২ কোটি ৬৫ লাখ টাকা তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ।
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে চাওয়া হত বলে জানা যাচ্ছে। এমনই একটি বেসরকারি সংস্থার অভিযোগ, ২০১৮ সালে তাদের ব্ল্যাঙ্ক চেকও লিখে দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়েছিল। পরে যদিও জানা গিয়েছিল, ওই চেক মারফত টাকা তুলেছে ‘অ্যাকিউরি কনসালটেন্সি সার্ভিসেস’ নামে একটি সংস্থা। টাকা না দিলে পরে সমস্যায় পড়তে হবে বলেও শাঁসানো হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থা ইডির হাতে এমন অসংখ্য কলেজের নথি এসে পড়েছে, যাদের থেকে টাকা নিয়েছিলেন মানিক।
প্রসঙ্গত, বুধবার মানিকের যাদবপুরের বাড়িতে হানা দিয়ে বেশ কিছু সিডি উদ্ধার করে ইডি। ওই সিডি থেকে তারা কয়েকশো চাকরিপ্রার্থীর নাম উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি ইডির৷ জানা গিয়েছে এরমধ্যে ৯০ শতাংশের বেশি মনোনীত হয়েছিলেন। এই ব্যাপারে আরও জানতে গত কয়েক বছর প্রকাশিত সরকারি প্যানেল খতিয়ে দেখা হচ্ছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন মানিকের বাড়িতে এই তথ্য রাখা ছিল কেন, সেই প্রশ্নের উত্তরও খোঁজা হচ্ছে।