আরজি কর মামলায় এবার শিয়ালদহ আদালতে প্রশ্নের মুখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। এদিন এই মামলায় আদালতে পেশ করা হয় তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে। আদালতে বিচারকের প্রশ্ন, আরজি করের ঘটনায় আদৌও কী এই দু জনের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ লোপাটের কোনও অভিযোগ রয়েছে ? জবাবে সিবিআইয়ের আইনজীবী জানান, তাদের সন্দেহ রয়েছে। তাই আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। তাই আরও জেরার প্রয়োজন রয়েছে বলেও দাবি করেন সিবিআই আইনজীবী।
আরজি করের ঘটনা নিয়ে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ সব সত্যি বলছেন কীনা, তা খতিয়ে দেখতে গ্রেফতার প্রাক্তন অধ্যক্ষের নার্কো পরীক্ষা করাতে চায় সিবিআই। একইসঙ্গে এই ঘটনায় ধৃত টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পলিগ্রাফ টেস্ট চেয়ে আদালতে আবেদন করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, স্রেফ সন্দেহের বশে পলিগ্রাফ টেস্ট করা যায় না। কারণ, পলিগ্রাফ টেস্ট দেবেন কীনা, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। এদিনের মামলায় আদালত জানিয়েছেন, আরজি করের ঘটনায় দুটি দিক রয়েছে। এক, ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় সহ-যড়যন্ত্রকারী ? আর দুই, সাক্ষ্যপ্রমাণ লোপাটের সহ-ষড়যন্ত্রকারী ? সিবিআইয়ের থেকে এই দুটি প্রশ্নের জবাব চাওয়া হয়। একইসঙ্গে জানতে চাওয়া হয়েছে, অপরাধ হওয়ার সময় অভিযুক্তরা অন্য কোথাও ছিলেন কীনা ?
অ্যালিবাইয়ের প্রশ্নে সিবিআই আইনজীবী জানিয়েছেন, ঘটনার দিন সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে টালা থানার মধ্যে ছিলেন না অভিজিৎ ঘোষ। কোথায় গিয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এদিন আদালতে সিবিআইয়ের অভিযোগ, তদন্ত সহযোগীতা করছেন না সন্দীপ এবং অভিজিৎ।
তাই তদন্তের স্বার্থে আরও কিছুদিন এই দু জনকে নিজেদের হেফাজতে চায় সিবিআই। ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত তাদের সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।