জয়ের বার্তা নিয়ে আজ শিলিগুড়ি যাচ্ছেন রাজ্য়ের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চার পুরসভায় তৃণমূলের বিপুল জয়ে তিনি খুশি। বিধাননগর থেকে আসানসোল, শিলিগুড়ি থেকে চন্দননগর- প্রতিটি পুরসভার ওয়ার্ডে জয়ী তৃণমূল প্রার্থীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, কাজ করে যেতে হবে। থামলে চলবে না।
তিনদিনের সফরে আজই উত্তরবঙ্গ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। তার আগেই এসেছে শিলিগুড়ি জয়ের খবর। এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরসভায় বোর্ড গঠনের পথে রাজ্য়ের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কলকাতা ছাড়ার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, জয়ের বার্তা নিয়েই তিনি আজ শিলিগুড়ি যাচ্ছেন। লোকসভা এবং বিধানসভার ভোটে উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু আসনের পাশাপাশি শিলিগুড়ি অধরা ছিল তৃণমূলের কাছে। তবে এদিন তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষকে এতদিন ভুল বোঝানো হয়েছিল। কারণ তিনি মনে করেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ এবার বুঝতে পেরেছেন, আসলে কারা উন্নয়নের কাজ করে।
আরও পড়ুন : শিলিগুড়িতে পরাজিত বর্ষীয়ান বাম নেতা অশোক ভট্টাচার্য
ভোট শেষ হওয়ার পরেই চার পুর-অঞ্চল থেকেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বিরুদ্ধে। এদিন সেই অভিযোগও খারিজ করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, "মানুষের ভোটে জিতেছে তৃণমূল। মানুষ ভোট দিয়েছে। যেদিন মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তা আমি মাথা পেতে নেব।" সল্টলেকের উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, এবার বিধাননগরে কোনও অশান্তি হতে দেয়নি পুলিশ।
তবে থেমে থাকলে চলবে, কাজ করে যেতে হবে। আগামী দিনে রাজ্যবাসীকে আরও কী ভাবে উপকৃত করা যায়, সেই কাজ করে যাবেন তিনি। তাই জয়ী প্রার্থীদের বার্তা, জনগণের রায় দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল। এবার মানুষের পাশে থেকে কাজ করতে হবে।
বিজেপি নয়, এই চার পুরভোটের ফলে বিরোধী হিসাবে ফের উঠে আসছে বাম-কংগ্রেস। তাতে ভাবিত নন তৃণমূল নেত্রী। তাঁর মতে, "তৃণমূল এক নম্বর হতে চায়। বাকিদের নিয়ে আমার কোনও ভাবনা নেই।"