অনলাইন গেমিং প্রতারণাচক্রের তদন্তে নেমে আরও ২২ কোটি টাকার ক্রিপ্টো কারেন্সি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর (ইডি)। এখনও পর্যন্ত এই প্রতারণা কাণ্ডে ৬৮ কোটি ৮২ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আরও টাকা বাজেয়াপ্ত হতে পারে বলে ইডি সূত্রের খবর।
গত ১০ সেপ্টেম্বর আমিরের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় লক্ষাধিক টাকা। সাড়ে ১৪ ঘন্টার তল্লাশি শেষে টাকার অঙ্ক বেড়ে হয় সাড়ে ১৭ কোটি। কলকাতার তিন জায়গায় হানা দিয়েছিল ইডি। এর মধ্যে ছিল বন্দর এলাকা গার্ডেনরিচ। আমির খানের বাড়ির খাটের তলা থেকে উদ্ধার হয় প্লাস্টিক প্যাকেটে মোড়া নোটের তারা। নোট গুনতে খবর যায় ব্যাঙ্কে। আটটি মেশিনের চেষ্টায় শেষ হয় গণনা।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করে, শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা জনৈক আমির খান ‘ই-নাগেটস’ নামে একটি গেমিং অ্যাপ তৈরি করে কোটি কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন। উত্তরপ্রদেশের গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেফতার করা হয় গেমিং অ্য়াপ প্রতারণায় অভিযুক্ত আমির খানকে।
জানা যায়, ক্য়ারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের এক সংস্থা মধ্য়ে দিয়ে চিনের এক কোম্পানিতে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ করত আমির। ওই সংস্থায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল। তারপর উদ্ধার হল বহু কোটি টাকা। তবে শুধু আমির নয়, এই ঘটনার পিছনে আরও অনেক বড় মাথা আছে বলেই দাবি তদন্তকারীদের। কারণ, বহু অ্যাকাউন্ট থেকে যেমন টাকা এসেছে, তেমনই গিয়েছেও অনেক অ্যাকাউন্টে। কারণ করোনার সময় অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত এই বিনিয়োগ করেছিল আমির।
এরপর গ্রেফতার করা হয় আমির ঘনিষ্ঠ রুমেন আগরওয়ালকে। গত বুধবার গ্রেফতার করা হয় বিক্রম সিংহ গান্ধী নামে আরও এক জনকে। ইডি সূত্রের খবর, এই বিক্রম সিং গান্ধী প্রতারণাচক্রে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় কাজ করতেন।