গ্রেফতার পার্থ চট্টোপাধ্যায়। দলের একাংশ থেকেই এবার উঠল তাঁর পদত্যাগের দাবি। যদিও তৃণমূলের রাজ্য়ের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, গোটা পরিস্থিতির উপর তাঁরা নজর রেখেছেন। ঠিক সময়ে এই ব্যাপারে তৃণমূলের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। কিন্তু রাজনৈতিক মহলের মতে, মহাসচিবের গ্রেফতারের পর তৃণমূলের একাংশের দাবি, ওই পদ থেকে অবিলম্বে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হোক। এই ব্য়াপারে কুণাল ঘোষের দাবি, দল ঠিক সময়ে সবকিছু জানিয়ে দেবে।
রাজ্যের মসনদে এই বার নিয়ে তিন বার ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এরআগেও দুর্নীতির অভিযোগে বেশ কয়েকজন নেতা-মন্ত্রীকে জেলের যেতে হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের দাবি, এরআগে যাঁরা জেলে গিয়েছেন, তাঁদের জামিনের ব্যাপারে যথেষ্ঠ সক্রিয় ছিল তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু স্কুল সার্ভিসে নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় যে ছবি গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সামনে এসেছে, তারপর থেকে তৃণমূলের অন্দরে নেতাদের মুখে এখন কুলুপ। বিশেষ করে, তাঁদের অনেকে ধারণাই করতে পারছেন না এই দুর্নীতিতে এতটা গভীরে থাকতে পারে খোদ মহাসচিবের নাম। এবং তাঁর ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে পাওয়া যেতে পারে ২১ কোটি টাকা-সহ আর কোটি টাকার সম্পত্তি।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, গত কয়েকদিন আগে সিনিয়রদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় করেছিলেন, এখন দেখা যাচ্ছে, তাতে কোনও ভুল ছিল না। ওই নেতাদের দাবি, অভিষেক যখন নির্দিষ্ট কারণে নির্দিষ্ট কিছু মুখকে মন্ত্রিসভা ও দলের বড় পদ থেকে সরাতে বলেছিলেন, তখন সেই কথা শোনা হয়নি। উলটে অভিষেককেই কোণঠাসা করার চেষ্টা হয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে দলের পদ থেকে সরানো বা দল থেকে সাসপেন্ড করার মতো সিদ্ধান্ত দলীয় স্তরেই নেওয়া যেতে পারে। কিন্তু পার্থকে মন্ত্রিসভা থেকে সরাতে গেলে মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালকে চিঠি লিখে তার সুপারিশ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা লিখবেন কি না, তা নিয়েই দলের অন্দরে জল্পনা বাড়ছে।