কলকাতা থেকে ফের উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ টাকা। বালিগঞ্জের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের (ED) আধিকারিকরা উদ্ধার করেন ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা। এই কাণ্ডে ইডির হাতে এসেছে এক ব্যক্তির নাম। ইডির দাবি এই ব্যক্তির মাধ্যমেই কয়লা পাচারের টাকা নয় ছয় করতেন কোনও এক প্রভাবশালী রাজনীতিক। আরও এক ব্যবসায়ী মনজিত্ সিং জিত্তার খোঁজ চালাচ্ছে ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, গজরাজ গ্রুপের মোট ৩০টি কোম্পানি রয়েছে। ইডির দাবি, এই কোম্পানিগুলিতে কয়লাপাচারের টাকা ঘুরপথে এসেছে। ইডি সূত্রে খবর, একটি গেস্ট হাউস ৯ কোটি টাকা দিয়ে কেনাবেচা চলছিল বালিগঞ্জে গজরাজ গোষ্ঠীর দফতরে। যদিও ওই সম্পত্তির আসল দাম ১২ কোটি টাকা। ৩ কোটি টাকা দেখানো হয় চুক্তি পত্রে। ইডির দাবি এভাবেই কালো টাকা সাদা হচ্ছিল।
জিটি ভাই ওরফে মনজিৎ সিং ও এই কাণ্ডের মূল মাথা বলেই খবর ইডি সূত্রে। বুধবার বালিগঞ্জে নির্মাণ সংস্থা গজরাজ গ্রুপের অফিসে হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। সেখানেই উদ্ধার হয় টাকার পাহাড়। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারকাণ্ডে বিভিন্ন সাক্ষীর বয়ান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে এই বেসরকারি সংস্থার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। খোঁজ মিলেছে এমন আরও একাধিক সংস্থার।