"আর কত সময় চাই, CBI-এর জবাব চাই।" সুবিচারের দাবিতে এই স্লোগান দিয়েই স্বাস্থ্যভবন থেকে CGO কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। বিকেল ৪ টে থেকে ওই মিছিল শুরু হয়। এদিকে ওই মিছিল শেষ করেই কর্মবিরতি আংশিকভাবে তুলে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা।
বৃহস্পতিবার রাতেই জুনিয়ার ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন স্বাস্থ্যভবনের সামনে থেকে আপাতত তাঁরা ধরনা তুলে নিচ্ছেন। কর্মবিরতি থেকে আংশিক সরে আসছেন তাঁরা। তবে আন্দোলন চলতেই থাকবে। আগামী দিনে দাবি পূরণ না হলে ফের কর্মবিরতির পথেই হাঁটবেন তাঁরা।
কর্মবিরতি থেকে সরে এলেও সরকারি হাসপাতালে এখনই যে সব পরিষেবা চালু হয়ে যাবে এমনটা নয়। জুনিয়র ডাক্তাররা জানিয়েছেন, হাসপাতালের যে পরিষেবাগুলি অত্যাবশ্যকীয় সেগুলিই বর্তমানে চালু করা হবে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনে রাজনীতির প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক জুনিয়র ডাক্তার জানিয়েছেন, তাঁরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন পর্যন্ত রাস্তায় থাকতেন না। বদলে চেয়ারের লড়াই শুরু করতেন। প্রথম থেকেই নিহত চিকিৎসকের বিচারের দাবির পাশাপাশি নিরাপত্তা সহ কয়েকটি বিষয়ে দাবি করে আসছেন তাঁরা। অবস্থান বিক্ষোভের শেষ দিনে এসেও একই দাবি তাঁদের।
এদিকে RG কর কাণ্ডের প্রতিবাদে লাগাতার কর্মবিরতি করেছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তার পাশাপাশি লালবাজার অভিযান এবং স্বাস্থ্যভবন অভিযানের ডাকও দিয়েছিলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অন্যদিকে ১১ দিন ধরে স্বাস্থ্য ভবনের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন তাঁরা। সমস্যার সমাধান করতে রাজ্য সরকারের তরফে একাধিকবার বৈঠক ডাকা হলেও শুধুমাত্র লাইভ স্ট্রিমিংয়ের জন্য বৈঠক ভেস্তে যায়। যদিও ১৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের মিনিটস দেওয়ার শর্তে বৈঠক সম্পন্ন হয়।
এরপর ফের রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে আরও একদফা বৈঠক করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। আর ওই বৈঠকের পরেই ধর্না তুলে নেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
অন্যদিকে আজই হাইল্যান্ড পার্ক থেকে রিলে মিছিল করছে নাগরিক সমাজ। ওই মিছিল অতিক্রম করবে ৪২ কিলোমিটার। বিচারের দাবিতে মিছিলের সামনে জ্বলবে মশাল।