বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই তা বুঝিয়ে দিলেন রিয়ালেন্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানি। এদিন নিউটাউনে সম্মেলনের প্রথম দিনেই তাঁর ঘোষণা আগামী দিনে বাংলায় ছটি বিষয় নিয়ে তাঁরা কাজ করবেন। যেখানে অগ্রাধিকার পাবে AI ।
প্রযুক্তির পাশাপাশি এই প্রথম বাংলার শাড়ি শিল্পকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরবে রিলায়েন্স। যেখানে প্রমোট করা হবে বালুচরি, মসলিন, তাঁত এবং তসরের মতো শাড়িকে। অষ্টম বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন মুকেশ আম্বানি। বুঝিয়ে দিয়েছেন, মমতা তাঁর কাছে নেত্রী নন, তাঁর দিদি। আর মমতার আমলেই বাংলায় বাণিজ্য দরজা অনেক বেশি করে খুলে গিয়েছে। যাকে বাংলার বাণিজ্য নবজাগরণের সঙ্গে তুলনা করেছেন আম্বানি।
বর্তমানে রাজ্যে রিলায়েন্সের বিনিয়োগ ৫০ হাজার কোটি টাকা। কর্মসংস্থান হয়েছে ১ লক্ষ মানুষের। আগামী দিনে রাজ্যে দ্বিগুণ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মুকেশ। ঘোষণা করেছেন, দিঘায় কেবল ল্যান্ডিং স্টেশনের। ২০১৬ সালে কলকাতা থেকেই শুরু হয়েছিল জিও-র পথচলা। সেই কথা এদিন মনে করিয়ে দিলেন আম্বানি। বাংলায় এখনও পর্যন্ত ১৩০০ জিও স্টোর রয়েছে। আরও ৪০০ স্টোরি তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
মুকেশ বলেন, “সোনার বাংলার জন্য সোলার বাংলা তৈরিই লক্ষ্য রিলায়েন্সের।” ডিজিটাল উন্নয়নে বাংলাই পূর্ব ভারতকে নেতৃত্ব দেবে বলেই দাবি করলেন মুকেশ আম্বানি। বাণিজ্য মঞ্চে দাঁড়িয়েই জানালেন আম্বানি পরিবারের সঙ্গে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের কথাও। আর তাই রিলায়েন্স মানেই বাংলা, আর বাংলা মানেই রিলায়েন্স। সেটাই বোঝালেন মুকেশ আম্বানি।