রাতের হাজতে অন্য বন্দিদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠেছেন ইউটিউবার রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। রাত বাড়লেই রোদ্দুর রায় যান অন্য বন্দিদের কাছে। কাউকে শোনান মোক্সা তত্ত্ব আবার কখনও চলে অশ্লীল ভাষায় গান।
লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপ (Lal Bazar Central Lock Up) বহু পরিচিত জায়গা কসবার স্বঘোষিত ডন সোনা পাপ্পুর কাছে। তোলাবাজির অভিযোগে তাঁকেও লালবাজারের সেন্ট্রাল লকআপে রাখা হয়েছিল। কিন্তু সেখানে এসে এই ফ্যাঁসাদে পড়তে হবে, ভাবতে পারেননি তিনি। ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের 'মোক্সা' ঠাট্টা রীতিমতো অত্যাচার হয়ে উঠেছে তাঁর। রাত বারোটা বা একটা নাগাদ হঠাৎ করেই সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে দিচ্ছেন। নিজস্ব ভঙ্গিমায় গান করছেন রোদ্দুর।
আরও পড়ুন: প্রসবের সময়, মায়ের পেটেই রয়ে গেল সন্তানের মাথা, ভয়াবহ ঘটনা পাকিস্তানে
এর আগে বড়তলা থানায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেও নাকি একই কাণ্ড করেছিলেন তিনি। লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপেও তাঁর অত্যাচার অসহনীয় হয়ে উঠেছে অন্য বন্দিদের। পাটুলি থানায় তাঁর নামে একটি অভিযোগ জমা পড়েছিল। আলিপুর থানায় তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করবে পাটুলি থানা। ওই থানায় কী কীর্তি করতে পারেন, এখন থেকেই তা ভাবতে শুরু করেছেন আধিকারিকরা। তবে কোনও পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে কোনও খারাপ ব্যবহার করেননি তিনি। কোনও গালিগালাজও দেননি। রোদ্দুরের টার্গেট শুধু অন্য বন্দীরাই।
পুলিশ সূত্রে খবর, রোদ্দুর রায়কে গোয়া থেকে গ্রেফতার করে কলকাতায় আনার পর লালবাজারের সেন্ট্রাল লক আপে রাখা হয়। ওই দিনই লালবাজারের গুন্ডাদমন শাখার জেরার জন্য সেন্ট্রাল লক আপে রাখা হয় কসবায় তোলাবাজিতে অভিযুক্ত সোনা পাপ্পু ও তাঁর দলের পাঁচজনকে। রোদ্দুরের চেহারা দেখে মশকরা করেছিল পাপ্পু ও তাঁর দলের লোকরা। সেটাই ভুল হয়ে গিয়েছিল।
পরের দিন পাপ্পু ও তার দলের লোকেরা লালবাজারের গোয়েন্দা আধিকারিকদের জানান, খাওয়াদাওয়ার পর তারা ঘুমিয়ে পড়েছিল। কিন্তু রোদ্দুর রায় এসে তাদের জাগান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পাপ্পুর বাকি সঙ্গীদেরও ডাকতে শুরু করেন। কয়েকজন রোদ্দুরকে ধমকালেও লাভ হয়নি। রোদ্দুর বলেন, রাত ঘুমোনোর সময় নয়, জাগার সময়। রাত মানে গান গাওয়ার সময়। এরপরই হাততালি দিয়ে গান গাইতে থাকেন। তাঁর গানের গুঁতোয় ভোররাত পর্যন্ত ঘুমের বারোটা বেজে যায় জেলের অন্য বন্দিদের।