সল্টলেকের তিন নম্বর সেক্টরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি এখনও ঠিক বিশ্বাস করতে পারছেন না প্রতিবেশিরা। অবিশ্বাসের কারণ নৈঃশব্দ্য। এত নিশ্চুপে এত বড় ঘটনা ঘটে গেল ভাবতেই ধন্দে পড়ছেন তাঁরা।
জিসি-৩০ বাড়ির বাথরুম থেকে উদ্ধার হয়েছে বৃদ্ধা মন্দিরা মিত্রের রক্তাক্ত মৃতদেহ। পাশেই ডাইনিং টেবিলের কাছে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে ছিলেন তাঁর স্বামী যদুনাথ। তবে তাঁর দেহে প্রাণ ছিল৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন প্রবীণ দম্পতি। স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হতে চেষ্টা করেছিলেন যদুনাথ। সেই মর্মে সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে।
যদুনাথদের একদম পাশেই থাকেন রাজেশ চিরমার। তিনি পাশ্ববর্তী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। তাঁর চোখেমুখে এখনও বিস্ময়। অবসরপ্রাপ্ত সেনাকর্মী যদুনাথ কী করে এমন কাণ্ড ঘটালেন, কোনও শব্দ হল না কেন, বুঝতেই পারছেন না তাঁরা।
পড়শিদের কথায়, ওই দম্পতি সাধারণত চুপচাপই থাকতেন। এলাকায় স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ক্যাম্পে যেতেন। তাঁদের বাড়ি থেকে কোনও শব্দও পাওয়া যায়নি। অথচ এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে ফেললেন তাঁরা!