মঙ্গলবার, বিকেল ৫টা। তার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিকেলে নবান্নে আলোচনার জন্য তাঁদের ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। কোনও পক্ষকে সাড়া না দিয়ে রাতভর স্বাস্থ্যভবনের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে জুনিয়র ডাক্তাররা। ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত ১২টা। মধ্যরাতে জুনিয়র চিকিৎসকদের কৃতজ্ঞতা জানাতে স্বাস্থ্যভবনের সামনে পৌঁছে যায় নির্যাতিতার পরিবারও।
জুনিয়র ডাক্তাররা লালবাজার অভিযানে প্রতীকী শিড়দাঁড়া নিয়ে গিয়েছিলেন। এবার ৬ দফা দাবি-সহ প্রতীকী মস্তিষ্ক নিয়ে স্বাস্থ্যভবন অভিযানে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা। রাতভর অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন সিনিয়র চিকিৎসকরাও। অভিযানে নির্যাতিতার পরিবার যোগ দেওয়ায় তাঁরাও খুশি। আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এতে তাঁরা আরও মানসিক শক্তি পেলেন।
নির্যাতিতার বাবা বলেন, "একটা মেয়ে হারিয়ে, আমি আজ অনেক ছেলেমেয়ে পেয়েছি। সবাই যেভাবে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, বিচারের দাবিতে লড়ছেন, তাতে আশা করছি বিচার আমরা পাবই। প্রশাসনের সুবুদ্ধি হোক।" বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয়ে নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন তিনি বাড়িতে থাকতে পারেননি। তাঁর মতে, "আমার ছেলেমেয়েরা আজ রাস্তায়, তাই বাড়িতে থাকতে পারিনি। ছুটে এসেছি এখানে। প্রশাসন তোমাদের কোথায় দাঁড় করিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রী উৎসবে যোগ দিতে বলছেন, আমার কাছে এটাই উৎসব।"