মঙ্গলবারের পর বুধবারেও রাস্তায় চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার সকাল থেকেই করুণাময়ী চত্বরে শুরু হয়েছে স্লোগান। হকের দাবি ছিনিয়ে নিতে মঙ্গলবার দিনভর রাস্তায় ছিলেন অনশনকারীরা। সারারাত দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি কেউ কেউ। কারুর বা ভেঙেছে গলা। তবুও বুধবার সকাল হতেই 'হল্লা বোল' স্লোগান তুলে ফের চেনা ছন্দে চাকরিপ্রার্থীরা।
মঙ্গলবার থেকেই নিয়োগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেন টেট পরিক্ষার্থীরা। এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, “মুখ্যমন্ত্রীও অনশন করে ক্ষমতায় এসেছেন, আমরা অরাজনৈতিক সংগঠন। আমরণ অনশন করব আমরা।” চাকরি না পেলে মৃত্যুবরণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আরেক চাকরিপ্রার্থীও। অন্যদিকে, টেট উত্তীর্ণদের এই বিক্ষোভের পিছনে রাজনৈতিক ইন্ধনের অভিযোগ পর্ষদ সভাপতি গৌতম পালের।
মঙ্গলবার চাকরিপ্রার্থীদের পাশে এসে দাঁড়ান হাই-মাদ্রাসার শিক্ষকরাও। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রচুর শিক্ষক জড়ো হন সল্টলেকে। রাজ্যের হবু শিক্ষকদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে তাঁদের দাবি, এমতবস্থায় তাঁরা হাত গুটিয়ে বসে থাকতে পারেন না। অন্যদিকে, চাকরিপ্রার্থীদের এই আন্দোলন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোর্টের বিচারাধীন বিষয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চান না।