আরজি করের ঘটনায় ক্রমশ জোড়াল হচ্ছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগ। জুনিয়র ডাক্তারদের পর এবার বিনীতের পদত্যাগ নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখে শুভেন্দুর দাবি, কলকাতার পুলিশ কমিশনারের থেকে রাষ্ট্রপতির জোড়া পুলিশ পদকও কেড়ে নেওয়া হোক।
শুভেন্দুর এই দাবি মধ্যে রাজ্যে ধর্ষণে কড়া আইন আনতে মরিয়া রাজ্য। রাজ্য বিধানসভায় এই বিল পাসের পর এবার একধাপ এগিয়ে বিলের কপি এবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরে পাঠালেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মূলত এই বিল আইনে পরিণত করতে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাতে সই করেন, এটা তারই একটা চাপের কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
গত তিন তারিখ রাজ্য বিধানসভায় অপরাজিতা বিল পাসের সময় এই বিলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস যাতে সই করেন, তার জন্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কোর্টেই বল ঠেলে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, এই বিলে রাজ্যপালের সই আনতে বিরোধী দলনেতাকেও দায়িত্ব নিতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে আরজি কর আন্দোলনে গতি আনতে এবার বিনীতের পদক ফেরতের দাবিতে সরব হলেন শুভেন্দু। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু জানিয়েছেন, ২০১৩ এবং ২০২৩ সালে বিনীতও পুলিশের কৃতিত্ব জনিত ওই দু’টি সম্মান লাভ করেছিলেন। কিন্তু তিনি ওই পদকের মর্যাদা রাখতে পারেননি। পাল্টা জবাবে তৃণমূল জানিয়েছে, যাঁরা ব্রিজভূষণকে বীরের তকমা দেন, প্রধানমন্ত্রীর কেন্দ্র বারাণসীতে ধর্ষণে অভিযুক্ত বিজেপি নেতাদের মালা পরিয়ে সংবর্ধিত করেন, তাঁদের মুখে এ সব মানায় না। শুভেন্দু আগে নিজের দলের দিকে দেখুন।