আরজি কর আন্দোলনে এবার 'অভয়া মঞ্চ'। যে মঞ্চে এক ছাতার তলায় জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অব ডক্টর্স এবং নাগরিক সমাজের প্রায় ৮০টি সংগঠন। এই মঞ্চের মূল সুরই হল সিবিআইয়ের থেকে এই ঘটনার দ্রুত বিচার চাওয়া। এছাড়াও রয়েছে বেশ কিছু দাবি। বুধবারই প্রথম রাস্তায় নামছে এই সংগঠন। আরজি কর হাসপাতালে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে প্রথম মিছিল হবে সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে।
মঞ্চের প্রথম বৈঠকেই জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার ফের রাজ্যে জ্বলবে দ্রোহের আলো। সন্ধে ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আহ্বান জানানো হয়েছে প্রতিটি পাড়ায় আলো জ্বালার। ৯ তারিখ রানি রাসমনি রোডে জমায়েতে পেশ করা হবে জনতার চার্জশিট। সংগঠনের দাবি, তদন্তে এখনও যে ফাঁকফোকর রয়েছে, তা এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হবে। এছাড়াও আরজি করের ঘটনার বিচার চেয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লাগাতার প্রচার চলবে।
আরজি কর আন্দোলন এখনও চালিয়ে যাচ্ছে জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। পরবর্তী কর্মসূচি হিসাবে বুধবার তারা পথে নামছে। এই ফ্রন্টের অন্যতম মুখ কিঞ্জল নন্দ আগেই জানিয়েছেন, বুধবার মেডিক্যাল কাউন্সিল থেকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করবেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তারদের এই মিছিলেই পা মেলাবেন নতুন মঞ্চের সদস্যরা।
আরজি করের প্রেক্ষাপটে শহরে তৈরি হয়েছে আরও একটি নয়া সংগঠন। সম্প্রতি তৈরি হয়েছে জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। ইতিমধ্যে আট দফা দাবি জানিয়ে তারাও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ইমেল করেছে। যেখানে প্রথম দাবিতে রয়েছে নির্যাতিতার দ্রুত বিচার।
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, আরজি কর আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে বাংলায় উঠে এসেছে একটা নতুন শব্দ। থ্রেট কালচার বা হুমকি সংস্কৃতি। আর তা ঘিরেই ইতিমধ্যেই জুনিয়র ডাক্তারদের দুই সংগঠনের মধ্যে শুরু হয়েছে সংঘাত।
সংঘাতের শুরু আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম মুখ আসফাকুল্লা নাইয়াকে ঘিরে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে থাকাকালীন তিনি ছিলেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক। এবং সেইসময় ওই হাসপাতালের সুপার ছিল আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ।
জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, একসময় সন্দীপের ঘনিষ্ঠ ছিলেন আসফাকুল্লা। যা ওই সময় হাসপাতালের পড়ুয়ারা সবাই জানেন। যদিও শ্রীশ চক্রবর্তীর তোলা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আসফাকুল্লা। তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে দেবাশিস, কিঞ্জলদের দাবি, আরজি কর আন্দোলনকে ফের কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।