বাংলার জামতারা উত্তর দিনাজপুরের চোপরা।
ট্যাবের টাকা জালিয়াতির তদন্তের শুরুতে প্রাথমিক ভাবে এই দাবি করল লালবাজারের তৈরি সিট। তদন্তকারীদের দাবি, এই একটি জায়গা থেকেই জাল ছড়ানো হয়েছে। রাজ্যের ১৫ জেলা ঘুরে সেই টাকা এখন চলে গিয়েছে ভিন-রাজ্যেও। এর মধ্যে বৈষ্ণবনগর থেকে গ্রেফতার সুব্রত বসাক নামের এক ব্যক্তি। যিনি একটি সরকারি ব্যাঙ্কের গ্রাহক পরিষেবায় কাজ করতেন। ধৃতের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ল্যাপটপ ও বহু নথি।
তদন্তকারীদের দাবি, উত্তর দিনাজপুরের চোপরায় নিঃশব্দে চলেছে এই অপারেশন। মূলত সরকারি পোর্টালের সাইবার সিকিউরিটিকে হ্যাক করে ট্যাবের টাকা হাতানো হয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এই কারণে এদিন সকালে সাইবার বিশেষজ্ঞদের নিয়ে শিক্ষাভবনে যান তদন্তকারীরা।
পুজোর পর থেকে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে রাজ্যের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা মঞ্জুর করেছিল রাজ্যে সরকার। কিন্তু পূর্ব বর্ধমান থেকে ট্যাবের টাকা জালিয়াতির অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ করা হয় পড়ুয়াদের দেওয়া অ্যাকাউন্টে ট্যাব কেনার জন্য কোনও টাকা জমা না পড়ার।
ক্রমেই সেই অভিযোগ দীর্ঘ হয়। যা ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের ১৫টি জেলায়। ঘটনার তদন্তে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের বেশির ভাগ মালদহের বাসিন্দা। তবে, তদন্তকারীদের দাবি অপারেশন চালানো হয়েছে চোপরা থেকেই। ঝাড়খণ্ডের জামতাড়ার সঙ্গে চোপরার কোনও লিঙ্ক রয়েছে কীনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীরা নিশ্চিত ঘটনার ধরণ যাই হোক না কেন, পিছনে রয়েছে একটাই মাথা।